আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল

আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্ৰেফতার হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন সন্ধ্যাতেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোনও। অবশেষে গ্ৰেফতার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কদিন আগে গ্ৰেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এবার গ্রেপ্তার হলেন আর এক মুখ্যমন্ত্রী।

আবগারি দুর্নীতি ও দিল্লি জল বোর্ডের দুর্নীতি- দুই ক্ষেত্রেই আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। দুই মামলাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছিল ইডি। এর মধ্যে আবগারি দুর্নীতিতে গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু করে মোট নবার তলব করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রতিবারই তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কেজরি অনলাইনে হাজিরা দেওয়ার আর্জি জানালে তাতে রাজি হয়নি ইডি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোন। অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন তিনি। এর আগে দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্ৰেফতার করা হয়েছিল। গ্ৰেফতার হয়েছেন সঞ্জয় সিং ও সত্যেন্দ্র জৈনের মতো আপ নেতাও।

এদিকে আপের তরফে জানানো হয়েছে, কেজরিওয়ালকে গ্ৰেফতার করা হলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরাবে না দল। কেজরিওয়ালের পর তাঁর বাড়ির সামনে উপস্থিত মন্ত্রী আতিশি বলেন, ”অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এতে কোনও দ্বিমত নেই। আমরা শুরু থেকেই পরিষ্কার করে দিতে চাই, উনি জেলের ভিতর থেকেই কাজ করবেন। কোনও আইন তাঁকে আটকাতে পারবে না। উনি দোষী সাব্যস্ত হননি।”

সেই সঙ্গেই তাঁর তোপ, ”বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদির চক্রান্তেই ওঁর এই গ্ৰেফতারি। দুবছর আগে এই নিয়ে মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ১ টাকাও উদ্ধার করতে পারেনি ইডি বা সিবিআই। অথচ আপ নেতা ও মন্ত্রীদের বাড়িতে হাজারেরও বেশি হানার ঘটনা ঘটেছে।”

এদিকে এদিন বিকেলেই ইলেক্টোরাল বন্ডের সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে নির্বাচন কমিশন। থেকে দাতা ও গ্রহীতা, সবাইকেই চিহ্নিত করা যাবে। অর্থাৎ কোন রাজনৈতিক দল কার কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছে সেটা পরিষ্কার বোঝা যাবে। এই বিষয়টি থেকে সকলের নজর সরাতেই কি এদিনই গ্রেফতার হতে হল কেজরিওয়ালকে, এমন প্রশ্নও তুলছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*