লক্ষ্মী চলে গেছেন

আজ বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজো। ঘরে ঘরে এবং মণ্ডপে লক্ষ্মীর আরাধনা হচ্ছে। গৃহস্থরা লক্ষ্মীর পুজো করছেন সংসারের শ্রীবৃদ্ধির আশায়। কিন্তু বড়ো ঘর থেকে লক্ষ্মী চলে গেছেন। রেগে। বড়ো ঘর মানে ভারত। লক্ষ্মীর চলে যাওয়ার কারণ গৃহকর্তা প্রধানমন্ত্রীর হঠকারী ও উড়নচণ্ডে মনোভাব। হঠকারী কেন? কারণ, নোট বাতিল এবং জিএসটি চালু করার ফলে দেশের সম্পদ ও সরকারের রাজস্ব কমে যাচ্ছে। জিডিপি কমে গেছে। অনেকেই বলছেন, কালো টাকাগুলোকে সাদা করে দেওয়ার জন্যই নোট বাতিল করা হয়েছিল। কারণ, নোট বাতিলের আগে চালু থাকা এক হাজার ও পাঁচশো টাকার নোট প্রায় সবটাই ফিরে এসেছে। উড়নচণ্ডে মনোভাব কেন? শুধু বিদেশ ভ্রমণ আর বিদেশ ভ্রমণ। সরকারি টাকায় ১০ লাখ টাকা দামের সুট বানিয়ে এদেশ থেকে ওদেশ যাওয়া। এতে ভারতের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সম্পর্কের উন্নতিও হয়নি, অন্যান্য দেশগুলোর কাছে ভারতের মর্যাদাও বৃদ্ধি পায়নি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতি ২৪ ঘণ্টায় খারাপ হচ্ছে। ব্যাঙ্কে কম করে ৩ হাজার টাকা রাখতে হবে। অথচ সুদের হার ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩.৫ শতাংশ করে দেওয়া হলো। মেয়াদি আমানতে ও ডাকঘরের মাসিক আয় প্রকল্পে সুদের হার কমছে। প্রবীণ নাগরিকরা বিপদে পড়ছেন। সরকার বলছে, ব্যাঙ্কের টাকার দরকার নেই। কারণ, ব্যাঙ্কের ঋণ নেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ নতুন করে ব্যবসা করতে চাইছে না। শিল্পপণ্যের চাহিদা তেমন নেই। এর ফলে যুবক-যুবতীরা চাকরি পাচ্ছেন না। অথচ প্রধানমন্ত্রী লাজলজ্জা ছেড়ে নিজের জন্মদিন পালনে সারা ভারতের মিডিয়ায় কয়েকশো কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। এসব দেখেই মা লক্ষ্মী রেগে গিয়ে ভারত ছেড়ে চলে গেছেন। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*