সারা জীবন অন্তরালেই কাটিয়েছেন । চলেও গেলেন নিঃশব্দে । হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিভা অন্নপূর্ণা দেবী গত কয়েক বছর ধরেই ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে। শুক্রবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন । বয়স হয়েছিল ৯২। রাত তিনটে বেজে ৫১ মিনিটে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মধ্যপ্রদেশের মাইহার শহরে তাঁর জন্ম হয়। বাবা বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খান। মায়ের নাম মদিনা বেগম। পিতামাতার চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। বিশ্ববিখ্যাত সরোদিয়া উস্তাদ আলি আকবর খান তাঁর দাদা।
বাবার কাছে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে অন্নপূর্ণা দেবীর সেতারে হাতেখড়ি। সারা জীবন সেতারই ছিল তাঁর পছন্দের বাদ্যযন্ত্র। জনসমক্ষে আসা বিশেষ পছন্দ করতেন না। খুব অল্পসংখ্যক ছাত্রকে শেখাতেন। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে আছেন সরোদিয়া আশিস খান, অমিত ভট্টাচার্য, বাহাদুর খান, যতীন ভট্টাচার্য, বাঁশুরিয়া হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, নিত্যানন্দ হলদিপুর প্রমুখ।
হিন্দুস্তানী সঙ্গীতে সেনিয়া মাইহার ঘরানা অন্নপূর্ণা দেবীর অবদান। তিনি একসময় পন্ডিত রবিশঙ্করের স্ত্রী ছিলেন। তাঁদের সন্তানের নাম শুভেন্দ্র শঙ্কর। তিনি ১৯৯২ সালে মারা গিয়েছেন।
রবিশঙ্করের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ১৯৮২ সালে অন্নপূর্ণা দেবীর সঙ্গে রুশিকুমার পাণ্ড্য নামে এক ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টের বিবাহ হয়। তিনি মারা গিয়েছেন ২০১৩ সালে।
অন্নাপূর্ণা দেবীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
Be the first to comment