আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম পর্বেই হতাশ মোহনবাগান

রোজদিন ডেস্ক :- এই গরমেও কিন্তু ফুটবলের ঝড় উঠেছে ভুবনেশ্বর এর কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে।ফুটবল প্রেমীদের কাছে এটি একটি অপেক্ষিত ম্যাচ ছিল। কারণ আজ ছিল আই এস এল এর প্রথম সেমিফাইনাল।
ওড়িশা এফ সি ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এর সাথে। ওড়িশা এফ সি র কাছে ১-২ ব্যবধানে হারল হাবাসের ছেলেরা।
আজকে ভারতীয় সময় সন্ধ্যে ৭:৩০ মিনিট থেকে খেলা শুরু হয়।
জয়ের লক্ষ্য নিয়েই ভুবনেশ্বর গিয়েছিল লীগসিল্ড জয়ী মোহনবাগান।
কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস চেয়েছিলেন সবুজ – মেরুন শিবিরের বিস্তৃতি। কিন্তু প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে ১-২ ব্যবধানে ওড়িশা এফ সি র কাছে হেরে গিয়ে, সেই আশায় খানিকটা জল পড়ল।
যেহেতু ঘরের মাঠে খেলছে, সেহেতু সেটাকে কাজে লাগিয়ে প্রথম থেকেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলা শুরু করে লোবেরার ছেলেরা।
এদিকে ম্যাচের ৩ মিনিটে মাঠের বাঁদিক থেকে আসা কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন মানবীর। এই গোলে প্রতিপক্ষের ঝাঁঝ আরও বেরে যায়। প্রায় ১১ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরাই ওড়িশার কার্লোস ডেলগাডো।
১-১ হয়ে যাওয়ার পর খেলার নিয়ন্ত্রণ নেয় লোবেরার ছেলেরা। ওড়িশার একের পর এক আক্রমণের সামনে কিছুটা চাপে পরে যায় মোহনবাগান। ওড়িশার গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছিলনা হাবাসের ছেলেরা।
২২ মিনিটে জনি কাউকো,২৪ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসেরা গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন। পেত্রাতোসের দুরন্ত শট আটকে ৩৪ মিনিটে ওড়িশার পতন রক্ষা করেন গোল রক্ষক অমরিন্দর সিংহ।৩৯ মিনিটে ওড়িশা কে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন কৃষ্ণ। দেখা যায় মোহনবাগান খেলোয়াড় দের ভুলেই বক্সের ভেতর বল পেয়ে যায় কৃষ্ণ। প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি কোনো দল ই।
৬৭ মিনিটে মাথা গরম করে ফাউল করাই দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মোহনবাগান স্ট্রাইকার সাদিকুকে। আবার ৭৪ মিনিটে ডেলগাডো হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখে বেড়িয়ে যান। শেষ দিকে সমতা ফিরিয়ে আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন পেত্রাতোসেরা। ওড়িশার রক্ষণ সতর্ক থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*