একটা দিন বেড়িয়ে আসুন জয়রামবাটি-কামারপুকুর

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পবিত্র দর্শনীয় স্থান জয়রামবাটি ও কামারপুকুর। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত জয়রামবাটি বাঙালির কাছে এক অতি পরিচিত দর্শনীয় স্থান। সেখান থেকে কিছু দূরেই রয়েছে কামারপুকুর। দু’টি স্থানের মধ্যে ১০ কিলোমিটারের দূরত্ব থাকলেও, এই দু’টি জায়গা একটি অপরটির থেকে আলাদা নয়।

কামারপুকুরের খ্যাতি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাসভূমি হিসাবে। কামারপুকুর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত জয়রামবাটি স্থানটিও বেশ ঐতিহ্যমণ্ডিত, কারণ এটি সারদা দেবীর জন্মস্থান। প্রতি বছরই এই দুই স্থান দর্শনের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থী আসেন।যেকোনও একদিন ঘুরে আসুন জয়রামবাটি-কামারপুকুর থেকে।

কী দেখবেন?
১. কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ— ১৯৫১ সালে রামকৃষ্ণ মঠের সন্ন্যাসীরা এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সদস্যরা একত্রিত হয়ে ‘রামকৃষ্ণ মঠ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই রামকৃষ্ণ মঠ পরিদর্শনে সারা পৃথিবী থেকে প্রায় হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন। এই মঠটির উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। এর ভিতরেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের একটি মূর্তি রয়েছে, এই মূর্তিটির পরিকল্পনা করেন নন্দলাল বসু।

২. মাতৃ মন্দির— মাতৃ মন্দির এখানকার একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। এখানেও প্রতিবছর বহু ভক্ত সমাগম হয়। এটি জয়রামবাটি মঠ নামেও পরিচিত। স্বামী সারদানন্দ ১৯২৩ সালে এই মন্দিরটি মা সারদের নামে উৎসর্গ করেন।

• কীভাবে যাবেন?
জয়রামবাটি বা কামারপুকুরে কোনও রেলওয়ে স্টেশন নেই। তারকেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনই এর নিকটবর্তী। তারকেশ্বর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই পবিত্র স্থান। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেশ কয়েকটি লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়া যায়। তারকেশ্বর থেকে বাস এবং ট্যাক্সি করে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে জয়রামবাটি ও কামারপুকুর।

এছাড়াও, সড়কপথে বাস পরিষেবা রয়েছে। ধর্মতলা থেকে প্রতি দেড় ঘণ্টায় কামারপুকুরের বাস পাওয়া যায়।

• কী খাবেন?
জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর— উভয় জায়গাতেই দুপুরে ও রাতে ঠাকুরের ভোগ পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সকল পূর্ণার্থীর উদ্দেশ্যেই এই নিরামিষ ভোগ বিতরণ করা হয়। তবে এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোগের কুপন কাটতে হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*