শনি মহারাজের জয়

নবগ্রহের মধ্যে এক গ্রহ শনিদেব। শনিদেব হিন্দু ধর্মের এক দেবতা। শনি উগ্রদেবতা বলে কথিত আছে। শনির কৃপা দৃষ্টি পেলে সব বাধা দূর হয়। জ্যোতিষিদের মতে শনির কুদৃষ্টি অশুভ ফল নিয়ে আসে। সৌরজগতে শনিগ্রহ সপ্তাহান্তে শনিবার দিনটি শনিদেবের নামে পুজো হয়। একদিকে যেমন মা-কালী পূজিতা হন শনিবার, তেমনি বড়বাবা রূপে শনি পুজিত হন এইবারে।
শনিদেব মৃত্যু ও ন্যায়বিচারের দেবতা ধর্মরাজ বা যমদেবের ভ্রাতা। তাই শনির দুই গুনই আছে। একদিকে যেমন মৃত্যু আনতে পারেন, অন্যদিকে ন্যায় বিচারও করতে পারে্ন। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনি ধ্যানের সময় তাঁর স্ত্রী সুসজ্জিতা হয়ে তাঁর কাছে এসে কামতৃপ্তি প্রার্থনা করেন। ধ্যানমগ্ন শনি সেদিকে খেয়াল না করাতে অতৃপ্তকাম পত্নি শনিকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও তাকালে না, এরপর থেকে যার দিকে তাকাবে সেই ভস্ম হবে।
মধ্যযুগীয় ধর্মগ্রন্থে শনি হলো একজন দেবতা, যিনি দুর্ভাগ্যের এবং অশুভ শক্তির বাহক হিসাবে বিবেচিত হন। কিন্তু এ বহুযুগ আগের কথা, তখন শনিদেবের গায়ের রং ছিল নিকষ কালো, শুধু তাই নয় উনি কুৎসিত রূপে পুজিত হবেন। যুগ বদলেছে, শাপমুক্ত হয়েছে শনি। তবে তাঁর ভস্ম করার ক্ষমতা যায়নি। প্রকৃত ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন তিনি। দেশে তথা বাংলার বিভিন্ন জায়গায় শনির মন্দির আছে। তাই আজ শনিবার রোজদিনের ধর্মপাতায় আমরা প্রত্যেকে শনিদেবকে আন্তরিক প্রণাম জানিয়ে প্রার্থনা করি শুভ শক্তির জয় হোক। ভালোবাসার সাথে সবাই বলুন – নিলাঞ্জন সমাভাষং রবিপুত্রং মহাগ্রহম ছায়াগর্ভ সম্ভূতং। বন্দেভক্তা শনৈশ্চরম।
শনি মহারাজের জয় –

-পিয়ালি আচার্য

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*