প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যা মামলার রহস্য আরও জটিল হচ্ছে

রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যা মামলায় আবারও নয়া মোড়। নিহত পড়ুয়ার আইনজীবী সুশীল টেকরিওয়াল ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করলো পুলিশ। এমনকী, মামলা তুলে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী। সুশীলের দাবি, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হামলার ঘটনা ঘটে। দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে লেখা চিঠিতে টেকরিওয়াল জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রী-পরিবারকে নিয়ে নৈশভোজে গিয়েছিলেন। আচমকাই একটি জিপে চড়ে এসে কয়েকজন পুলিশকর্মী তাঁকে আক্রমণ করেন। একজন কনস্টেবল তাঁদের দিকে বন্দুক তাক করে বলেও অভিযোগ। পরে এক ইনস্পেক্টর তাঁকে জাপটে ধরে চড়-কিল-ঘুষি এমনকী লাথিও মারে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

তাঁর আরও অভিযোগ, ওই ইনস্পেক্টর বলেন, যেহেতু তিনি প্রদ্যুম্ন মামলায় লড়ছেন, তাই তাঁকে হত্যা করা হবে। মামলা থেকে সরে না এলে তাঁদের ফল ভুগতে হবে বলে হুমকি দেন ওই ইনস্পেক্টর। যদিও সমস্ত ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পড়ুয়া প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে স্কুলের শৌচাগারে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হত্যার অভিযোগে পুলিশ স্কুলের বাস কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করে। তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিবিআই। একমাস পর প্রদ্যুম্নকে হত্যার অভিযোগে আটক করা হয় ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে। পরে বাস কন্ডাক্টরকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*