মালদহের সভায় মূখ্যমন্ত্রী সতর্ক করলেন, বাংলায় বিজেপির দুটি চোখ বাম ও কংগ্রেস

রোজদিন ডেস্ক :- মালদহ বলতেই রাজনৈতিক মানচিত্রে উঠে আসে কংগ্রেসের প্রবাদপ্রতিম নেতা প্রয়াত গনিখান চৌধুরীর নাম। শনিবার মালদহ দক্ষিণের সুজাপুরে সভা থেকে সেই নাম নিয়েই কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএমকে এক বন্ধনীতে রেখে সুর তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মালদহবাসীকে সতর্ক করে মমতা বলেন, “বাংলায় বিজেপির দুটো চোখ, একটা সিপিএম আরেকটা কংগ্রেস!”
নিজের বক্তব্য কে কেন্দ্র নিজপক্ষ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তো বরাবরই কংগ্রেসকে সাহায্য করতে চেয়েছি। বিধানসভায় ওদের একটাও আসন নেই। তবু লোকসভায় দু’টো আসন দিতে চেয়েছিলাম। ওরা নিল না, সিপিএমের হাত ধরল। আপনারা কি চান, বাংলায় আমি সিপিএমের কাছে আত্মসমপর্ণ করি?”
সভায় আসা জনসাধারনের ভিড় থেকে সকলে মিলে আওয়াজ দেয়, “না”।
বর্তমানে মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু বরকত আতাউর গনি খান চৌধুরীর ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালুবাবু) ২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রে জিতে আসছেন। এবারে এখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে শাহনওয়াজ় আলি রেইহানকে।

মূখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “মনে রাখবেন, মালদহ লোকসভা কিন্তু আগে কখনও তৃণমূল পায়নি। একুশের বিধানসভায় আপনারা আমাদের ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন বলে বিজেপিকে আটকাতে পেরেছিলাম, তাহলে এবারেও নয় কেন?”
তিনি আরো বলেন, “বরকতদাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনি যতদিন ছিলেন আপনারা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু এখনও কেন বার বার ওদেরই ভোট দেবেন? মৌসম বেনজির নূরকে তো আমরাই জিতিয়েছিলাম। কিন্তু লোকসভায় গিয়ে যে চুপ করে বসে থাকে, মানুষের কথা বলে না, তাঁকে কেন প্রার্থী করব? মহুয়া মৈত্রকে দেখুন। সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতো বলে ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে।”
২০২১ সালে সুজাপুর থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী মহম্মদ আব্দুল গনি। যদিও ভোটে জেতার পর থেকে তাঁকে নিয়ে মানুষের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ভুল ত্রুটি যদি কেউ করে তাতে দলের অভিমান হলে মানুষের কাছে ভুল স্বীকার করা উচিত। আপনারা বিধানসভায় গণি সাহেবকে জিতিয়েছিলেন। মালদহকে মর্য়াদা দিয়ে তাঁকে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান করি। তিনি এলাকায় আসতে সময় পান না। তাই এখন থেকে এখানটা আমি নিজে দেখব।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*