খোঁজ

গৌতম চট্টোপাধ্যায়ঃ

ঠিক কতটা গর্ত খুঁড়লে নিজেকে চেনা যায়!

স্তরের পর স্তর সরে গিয়ে যে শুন্যতা তৈরি হয়,

যেখানে জমা থাকে বছরের সব না বলা ভাবনা, পঙক্তি, সমাস,

যা ভেদ করে কোন বিন্দু সহজেই করতে পারে এপার ওপার,

তা এই কম্পিত কথামালা বর্ণনা করতে ব্যর্থ।

দূরে কোথাও অস্ফুটে শোনা যায় ছেলেবেলার ডাক,

দু’ঘরের ভাড়াবাড়িতে তখন কোন অধিকার ছিল না,

ছিল না ক্ষোভ, বিদ্বেষ বা স্বরচিত স্মৃতি রোমন্থন,

শান্ত, স্নিগ্ধ চোখে খাটে বসে খেলছে সাদা শিশু।

ঠিক কতটা নিচে নামলে মেরুদণ্ড শক্ত হয়!

গুমরানো অপমানগুলো প্রতিধ্বনিত হয় রঙ্গ দামামায়,

তারা চেনায় বন্ধু, তারা চোখে দেখায় সত্য,

বাস্তব মাটিতে শিক্ষার কোপ পরে ঘাড়ে।

মুঠো ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসে, চোয়াল হয় শক্ত,

আর ঠোঁট দিয়ে ঝরে পরে চিরাচরিত অনাবিল হাসি।

স্থির দৃষ্টি অর্ধনমনীয় পতাকা এড়িয়ে চলে যায় সুদূর সীমান্তে,

এই পরিধি আমার চেনা নয়, এই পঞ্চব্যাঞ্জন দরকার নেই,

অর্থের প্রাচুর্যে লেগে আছে বিভাজনের অভিশাপ।

একা পথ চলতে আজ সত্যিই কোন অসুবিধা নেই,

পায়ে হেটে মাইলের পর মাইল,

অন্ধ বাঁক ঘুরে কোন এক নতুনত্বের পথে।

মধ্যবিত্ত বাঙালি ঘরের ছেলেরা,

চুপচাপ মাথা নত করে চাকরি করে শুধু,

রোদ, ঝড়, বৃষ্টি পেরিয়ে এগিয়ে গেছে জীবন,

ঠাণ্ডা জলাধারের পাশে এক নিশ্চুপ কবরের খোঁজে।

ঠিক কতটা একাগ্র হলে মানুষ মনুষ্যত্ব লাভ করে?

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*