কাণি-রাজা বেকসুর খালাস, অক্সিজেন পেল কংগ্রেস

পিয়ালি আচার্যঃ টুজি স্পেকট্রাম মামলায় সিবিআই বিশেষ আদালত সম্পূর্ণ নির্দোষ বলল এ রাজা-কাণিমোঝিকে। আদালতের বিচারে রাজা-কাণিমোঝি সহ ১৬ জন অভিযুক্তই বেকসুর খালাস। বিশেষ আদালতের বিচারপতি ও.পি.সাইনি সিবিআইকে বলেন আপনারা দোষ প্রমাণে ব্যর্থ। রায় জানার পরেই ডি.এম.কে সদর দপ্তরে খুশির হাওয়া। শুরু হয়ে যায় মিষ্টি বিতরণ, বাজি পোড়ানো, আবির মাখানো। ডি.এম.কে’র তরফ থেকে জানানো হয়, রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছিল তাঁরা।
ইউপিএ সরকারের টেলিকম মন্ত্রী ছিলেন এ রাজা। তার বিরুদ্ধে টুজি স্পেকট্রাম বন্টনের অভিযোগ ওঠে। ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার স্পেকট্রাম বন্টনের দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৎকালীন বিরোধীরা। কংগ্রেস ক্ষমতা থাকায় দুর্নীতির আঁচ লাগে প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং এর গায়েও। দেশের সবচেয়ে বড় স্ক্যাম বলা হতো একে। এই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই ২০১৪র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায়। সেই নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। কংগ্রেস খুবই খারাপ ফল করে। তার পরের ঘটনা সকলেরই জানা। ডি.এম.কে সাংসদ এবং করুণানিধি কন্যা কাণিমোঝিকে আজকের রায়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি খুশি। ন্যায়ের জয় হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত গুজরাটে ভালো ফলাফলের পরেই কংগ্রেস যেমন গোটা দেশে আবার নিজেদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে তেমনি আজকে এই রায় কংগ্রেসকে যে বাড়িত অক্সিজেন দিল সেকথা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং সাধারণত টেলিভিশনে ইন্টারভিউ দেন না। তিনিও আজকে এই রায়ের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বলেছেন, এটি ছিল রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা। আদালতের রায়ই সবকথা বলে দিলো। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, এই রায় আমাদের নৈতিক জয়। মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে মামলা সাজানো হয়েছিল। অভিযোগও ছিল মিথ্যা। তাই ক্ষমা চাক বিজেপি। অপর এক কংগ্রেস নেতা পি. চিদম্বরম বলেন, ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলো। অন্যদিকে বিজেপি ভাঙবে কিন্তু মচকাবে না। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এর পরেও বলছেন, নিয়ম মেনে টুজি স্পেকট্রাম বন্টন হয়নি। ডাকা হয়নি নিলাম। কংগ্রেস যেন আদালতের রায়কে সার্টিফিকেট না ভাবে। গুজরাটের নির্বাচনে একশ ছুঁতে না পারায় এমনিতেই বিজেপি শঙ্কিত। তার ওপর এই রায় কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনে যে অক্সিজেন যোগাবে সেইটা ভেবে কপালে চিন্তার ভাঁজ বিজেপি নেতাদের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*