টুজি স্পেকট্রাম বন্টনে কোনও দুর্নীতি হয়নি, জানাল আদালত

টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পেলো। বৃহষ্পতিবার স্পেশাল সিবিআই আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে। আদালত জানিয়েছে, টুজি স্পেকট্রাম বণ্টনে কোনওরকমের দুর্নীতিই হয়নি। খালাস পাওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা এবং ডিএমকে নেত্রী এম কানিমোঝি। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চলছিল এই বিচারপ্রক্রিয়া। অবশেষে বৃহষ্পতিবার মিললো সমাধানসূত্র।

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে সেলফোন নেটওয়ার্কগুলিকে এয়ারওয়েভ ও ভুয়ো লাইসেন্স বরাদ্দ করার অভিযোগ ওঠে। যদিও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এ রাজা। তবে, প্রথমদিকে সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিয়েছিল সমস্ত অভিযোগ। তিনি যেসব লাইসেন্স ইস্যু করেছিলেন তা খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। ২০১০ সালে একটি রিপোর্টে টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। রিপোর্টে বলা হয়, স্বচ্ছ নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই অবৈধ ভাবে ২০০৭-২০০৮ সালে টেলিকম অপারেটরদের টুজি-র লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। তামিলনাড়ুর ডিএমকে নেতা এ রাজা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। অডিট রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১০ সালে পদত্যাগ করেন রাজা। ২০১১ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। এরপর প্রায় এক বছর জেল খাটার পর জামিন পান রাজা। এই মামলায় তিনি ছাড়াও মোট ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মামলায় নাম জড়ায় ডিএমকে সুপ্রিমো এম করণানিধির মেয়ে এম কানিমোঝিরও। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন কানিমোঝি। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর বৃহষ্পতিবার ঘোষিত হলো রায়।বেকসুর খালাস পেলেন সব অভিযুক্তরাই।

তবে শুরু থেকেই তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন, তাঁরা বেকসুর খালাস পাবেন, রায়দানের পর সাংবাদিকদের একথাই জানালেন এ.রাজা ও কানিমোঝি। এদিন রায় ঘোষণার পর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে টুজি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ভিত্তিহীন, এই রায়েই তা প্রমাণিত হল। রায়দানের পরই আদালত চত্বরের বাইরে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ডিএমকে সমর্থকরা। পাশাপাশি রায়দানের ঘটনায় সরব হয়েছে সব মহল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*