পঞ্চায়েতের আগে সমবায়ে জোর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

পঞ্চায়েতের আগে সমবায়ে জোর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সমবায় দফতরে আরও গতি আনতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

“আপনারা খুব ভাল কাজ করছেন। আরও ভাল কাজ করুন।”- নেতাজি ইন্ডোরে সমবায় দফতরের অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,

গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা ও শক্তিশালী করতে সমবায়ের বিকল্প নেই। ১৮ লাখ পরিবার এর সঙ্গে যুক্ত। ২ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। ৫ হাজারের বেশি কো-অপারেটিভ সোসাইটি আছে। তাদের সকলকে সক্রিয় হতে হবে।

এই দফতরে(সমবায়) একটু অবহেলা হয়েছে। এটা নিয়ে সেভাবে চিন্তা ভাবনা করা হয়নি। আমরা চাই সমবায়ে আমানতের পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকাতে নিয়ে যেতে হবে। এইজন্য নিয়মিত অডিট করতে হবে। স্বচ্ছতা রাখতে হবে। নিজেদেরকে ব্যাঙ্ক কর্মী ভাবুন। যেভাবে কাজ করছেন তার থেকে আরও বেশি এনার্জি নিয়ে কাজ করতে হবে।

কর্মীদের প্রশিক্ষণ, কম্পিউটারের ব্যবহারে আমরা আরও নজর দিচ্ছি। আজ এই মঞ্চ থেকে আমরা একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করছি মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে। কিভাবে সমবায়ে বিনিয়োগ বাড়ানো ও কর্মীদের সমাধান করা যায় তার জন্য আমরা সব করব। মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দিলাম। তিনি আমাকে বলবেন, তারপর ৬ মাস পর আমরা পদক্ষেপ নেব।

যেখানে ব্যাঙ্ক নেই সেখানে সমবায় ব্যাঙ্ক খুলুন। ভ্রাম্যমাণ মোবাইল ভ্যানটা খুব ভাল হয়েছে। আমার মনে হয় এটা হলে নন ব্যাঙ্কিং সেক্টরে খুব ভাল কাজ হবে।

কেউ কেউ মুখে বলে ডিজিটাল করব, কিন্তু কাজে করতে পারে না। আমরা করে দেখাই। আমরা এক নম্বরে আছি, আমাদের কথা ওরা শোনে না কিন্তু মাঝে মাঝে বাধ্য হয় শুনতে।

এবার থেকে সমবায় গোষ্ঠী গুলোকে আমরা স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় নিয়ে আসছি। যাতে ৫ লাখ টাকা করে তারা স্বাস্থ্যবীমা পেতে পারে। ডেটা বেসের মাধ্যমে আমরা সবার তালিকা তৈরি করছি ডিজিটালে।

নোট বাতিলের সময় আমি খুব চিন্তায় ছিলাম।

জাতীয় ব্যাঙ্কের মত কাজ করুন আপনারা। এখানে আবহেলার কোনও জায়গা নেই। আরও অ্যাক্টিভ হয়ে ভাল কাজ করতে হবে। তারজন্য সরকারের যা যা করার আমরা তা করব।

সমবায় যখন সাবলীল হবে তখন আমি কন্যাশ্রীর টাকা ও অন্য সরকারি টাকা সমবায়ের মাধ্যমে দেব। সমবায়কে আরও শক্তিশালী হতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা নিজেরা এমন কিছু করব না যাতে সমবায় ব্যাঙ্কটা শেষ হয়ে যায়।

একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। লাইনের বাইরে গিয়ে কাজ করলে হবে না। একটা অনুরোধ কৃষক ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে, বেশি করে ঝণ দিন।

রিপোর্টার – রফিকুল জামাদার

ছবি – রফিকুল জামাদার

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*