কৃষি তথা গ্রামোন্নয়নে জোর কেন্দ্রীয় সরকারের

বাজেটে কৃষি তথা গ্রামোন্নয়নে জোর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ করার সময় হাসি মুখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, এটা ঘোষণা করতে পেরে আমি খুশি যে, আসন্ন খরিফ মরশুমে উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে দেড় গুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জোর দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ ভারতের স্যানিটারি ব্যবস্থাতেও। গ্রামাঞ্চলে প্রকাশ্যে মলত্যাগ বন্ধ করতে আগামী দু’বছরে অতিরিক্ত ২ কোটি শৌচাগার নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এক নজরে কৃষি তথা গ্রামোন্নয়নে কোন বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে সেদিকে নজর রাখা যাক-

· কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে দেড় গুণ করা হবে। খরিফ শস্যের উৎপাদন খরচের উপর ধার্য করা হবে সেই মূল্য।

· ২০১৮-১৯ সালে গ্রামীণ পরিকাঠামো ও জীবিকায় খরচ হবে ১৪.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা।

· ২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হবে এগ্রি-মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড।

· গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁশ চাষ, মৎস্যচাষ ও পশুপালনেও।

· ফিসারিস, অ্যাকোয়াকালচার ও পশুপালনে জোর দিতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

· মৎস্য ও পশুপালনের সঙ্গে জড়িতদেরও দেওয়া হবে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড।

· বাঁশের উৎপাদন ও বাঁশনির্ভর শিল্পের উন্নতির লক্ষ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে ১,২৯০ কোটি টাকা।

· কৃষি ঋণ খাতে ১১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

· তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে যথাক্রমে ৫৬, ৬১৯ ও ৩৯,১৩৫ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

· গ্রামাঞ্চলে তৈরী হবে অতিরিক্ত ২ কোটি টয়লেট।

· উদ্বোধন করা হবে অপারেশন গ্রিন প্রকল্প। বরাদ্দ করা হবে ৫০০ কোটি টাকা। এতে বন্যার সমস্যা কাটিয়ে ফসলের উৎপাদন বজায় রাখা যাবে। উপকৃত হবে চাষিরা।

· গরিব মানুষকে শক্তি জোগাবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের সবথেকে বড় চিন্তা স্বাস্থ্য। বাজেটে তাদের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গড়ার কথা বলা হয়েছে। এই যোজনার ফলে লাভবান হবে দেশের সমস্ত পিছিয়ে পড়া মানুষ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*