আজকের দিন

শতাব্দী রায়

জন্মদিন : ৫ অক্টোবর ১৯৬৮, স্থান- আগরপাড়া

শতাব্দী রায় বাংলার রুপোলি পর্দার জগতে এক উজ্জ্বল মুখ। তপন সিনহার ‘আতঙ্ক’-ই হোক, অথবা হরনাথ চক্রবর্তীর ছবিই হোক, বাংলা ছবির দর্শকেরা তাঁর বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় বারবার পেয়েছেন। আতঙ্ক ছবির জন্য তিনি বেস্ট সার্পোটিং অ্যাকট্রেস পুরস্কার পান। অমর বন্ধন, গুরুদক্ষিণা, অন্তরঙ্গ, আপন আমার আপন, আবিষ্কার, শ্রদ্ধাঞ্জলি, সখী তুমি কার প্রভৃতি কমার্শিয়াল ছবির পাশাপাশি তপন সিনহার ৯০-এর দশকে ছবি অর্ন্তধান-এও তিনি ব্যক্তিক্রমী অভিনয়ের সাক্ষর রাখেন। অবশ্য তাঁর পরিচয় তিনি শুধু একজন অভিনেত্রীই নন। তৃণমূল কংগ্রেসের দলের বীরভূমের সাংসদ তিনি। স্বামী মৃগাঙ্ক এবং পুত্র সাম্যরাজ ও কন্যা সামিয়ানাকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। আজ শতাব্দীর জন্মদিন। রোজদিন-এর তরফ থেকে তাঁকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

পাওলি দাম

জন্মদিন : ৫ অক্টোবর ১৯৮০, স্থান- কলকাতা

২০০৪ সালে সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহ-র তিন ইয়ারি কথা দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ। যদিও ছবিটি রিলিজ হয় ২০১২ সালে। ২০০৯ সালে পরিচালক গৌতম ঘোষের কালবেলা ছবিতে চমকে দিয়েছিলেন পাওলি। তারপর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একটার পর একটা হিট বাংলা ছবি। এলার চার অধ্যায়, ক্ষত, ছত্রাক, অগ্নিপরীক্ষা, তুলকালাম, আই লাভ ইউ, হচ্ছেটা কী প্রভৃতি বিভিন্ন ছবিতে ভিন্ন ধারার পরিচালকরা যে চরিত্রই তাঁকে দিয়েছেন, সেখানেই তিনি তাঁর মৌলিক প্রতিভা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। বহু সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন তিনি। পাওলির অভিনয় প্রতিভার পাশাপাশি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাও রীতিমতো উল্লেখযোগ্য। লোরেটো স্কুল থেকে পাশ করার পর বিদ্যাসাগর কলেজ এবং পরে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ইচ্ছে ছিল কেমিক্যাল রিসার্চার অথবা পাইলট হওয়ার। কিন্তু যা হওয়ার তাই হয়েছে। রোজদিন-এর তরফ থেকে তাঁকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

 

স্টিভ জোভস

মৃত্যুদিন : ৫ অক্টোবর ২০১১

অ্যাপেল প্রযুক্তির দুনিয়ায় এনে দিয়েছ বিপ্লব। আর সেই অ্যাপেল-এর সিইও তথা সর্বোচ্চ অংশীদারিত্ব যাঁর ছিল, তিনি হলেন স্টিভেন পল জোভস, সংক্ষেপে স্টিভ জোবস। ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি শুধু একজন এন্টারটেন্টার বা ব্যবসায়ী নন, সারা দুনিয়া তাঁকে সম্মান জানায় একজন আবিষ্কারক হিসেবে। এক নতুন ধারার পথপ্রদর্শক হিসেবে। তাঁর সৃষ্টি এতই সর্বজনগ্রাহ্য এবং জনপ্রিয় যে এখনও তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো এলেম খুব কম জনেরই আছে। আরও অনেক দূর যাওয়ার ছিল জোবসের। মানুষকে উপহার দিতেন আরও অনেক নতুন কিছু। কিন্তু বিধাতার নিয়মে প্যানক্রিয়াটিক টিউমারে  স্তব্ধ হয়ে যায় তাঁর হৃদ্‌স্পন্দন। মানুষের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে রোজদিন-এর তরফ থেকে রইল শ্রদ্ধাঞ্জলি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*