এই শীতে ঘুরে আসুন বাঁকুড়া

এই শীতে ঘুরে আসুন বাঁকুড়া

হঠাৎ যদি মন চায় মাটির কাছাকাছি কোথাও থেকে ঘুরে আসি তাহলে বেরিয়ে পড়ুন বাঁকুড়া। এখানে শীতে যাওয়াই ভালো। চোখের সামনে লাল মাটির কাঁকুরে পথ। চারিদিকে গাছগাছালি আর দূরে ছোট পাহাড়। গাছ, পাহাড় আর লাল মাটির এই জায়গাকে এক অদ্ভূত সৌন্দর্য্য বেষ্টন করে আছে।

বাঁকুড়া গেলে বিষ্ণুপুর, জয়রামবাটী আর মুকুটমণিপুর অবশ্যই ঘুরে আসবেন। এই স্থান গুলোর অনেক ইতিহাস আছে। বীর মল্লরাজ রঘুনাথের রাজত্বেই গড়ে উঠেছিল পৃথিবী বিখ্যাত লাল পোড়ামাটির সৃষ্টি, টেরাকোটা। টেরাকোটার শ্যাম রায়, জোড়বাংলা এগুলো ইটের তৈরি। পরবর্তীকালে বিষ্ণুপুর দুর্গ তৈরি করেন রাজা বীর সিংহ। মন্দিরের গায়ে রামায়ণ, কৃষ্ণলীলার বিভিন্ন আখ্যান, ফুল, ফল, লতাপাতা, পশুপাখি শিকারের মোটিভ দিয়ে ঘেরা এখানকার টেরাকোটার মন্দির।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এসে থাকতে হলে এখানে ছোট থেকে মাঝারি বিভিন্ন ধরনের হোটেল রয়েছে। ভাড়া ৪০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। এই অঞ্চলের মদনগোপাল, রাধামাধব, কালাচাঁদ, লালজি, রাধাশ্যাম মন্দিরগুলো ল্যাটেরাইট পাথর দিয়ে তৈরি। মল্ল রাজাদের এসব অসামান্য কীর্তিতে শিল্পসংস্কৃতি ও সভ্যতার এক পীঠস্থান হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার এই বিষ্ণুপুর।বিষ্ণুপুর শেষ করে এগিয়ে চলুন ‘মুকুটমণিপুর’ এর দিকে। কংসাবতী আর কুমারী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত মুকুটমণিপুর, এই সুন্দর পরিবেশ যেখানে মানুষ স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায়।

সাতরাগাছি থেকে বাঁকুড়া ট্রেনে করে এসে, বাকুড়ায় নেমে, ওখান থেকে বাস অথবা গাড়ি করে আসা যাবে সহজে। তাছাড়া কলকাতা থেকে সরাসরি বাঁকুড়ার বাস ছাড়ে, অথবা বিষ্ণুপুর বাস ছাড়ে, সেই বাসে করে আসা যাবে। বিষ্ণুপুর থেকে বাস পাল্টে আপনি মুকুটমণিপুরে আসতে পারবেন। তবে মুকুটমণিপুরে আসতে হলে আপনার ট্রেনে আসাই সবচেয়ে ভাল। প্রাইভেট কারে করেও আপনি মুকুটমনিপুর আসতে পারেন। দু তিন দিন থাকার পক্ষে বা দেখার জন্য এই স্থানটি খুবই উপযুক্ত।

মাসানুর রহমান

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*