পৌরনিগম নির্বাচনে জয়জয়কার হলেও আলিগড় কাঁটায় বিদ্ধ গেরুয়া শিবির

উত্তরপ্রদেশ পৌরনিগম নির্বাচনে অব্যহত গেরুয়া ঝড়। মুখের হাসি আরও চওড়া হলো মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। সাধারন মানুষ যে যোগীর উপর ভরসা রেখেছেন তা এদিনের ফলাফলেই স্পষ্ট। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে উত্তরপ্রদেশের পৌরনিগম নির্বাচনের গণনা শুরু হয়। গণনা শুরুর পরপরই দেখা যায় বেশিরভাগ আসনে এগিয়ে রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। উত্তরপ্রদেশের ১৬টি পৌরনিগমের মেয়র পদের জন্য শুরু হয় ভোটগণনা। লখনউ, মোরাদাবাদ, গাজিয়াবাদ, গোরক্ষপুর এবং আরও ১০টি পৌরনিগমে অনেকটাই এগিয়ে শুরু করে বিজেপি। ১৬টি নিগমের মেয়র পদের ১৪ টি তেই দাপট দেখালো গেরুয়া শিবির।

কানপুর, লখনউ, গাজিয়াবাদ, আগ্রা, বারানসী, বরেলি, মোরাদাবাদ, সাহারাণপুর, গোরক্ষপুর, ফিরোজাবাদ, মথুরা, এলাহাবাদ, ঝাঁসি ও অযোধ্যা এই ১৪ টি আসনেই বড় ব্যবধানে জয়ী বিজেপি। আর বাকি ২ টি অর্থাৎ আলিগড় ও মীরাট আসন দখলে রাখল বিএসপি (বহুজন সমাজ পার্টি)। আলিগড়ে মেয়র পদের নির্বাচনে জিতলেন বসপা প্রার্থী মহম্মদ ফুরকান। স্বাধীনতার পর তিনিই প্রথম মুসলিম যিনি আলিগড়ের মেয়র হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন। ১৯৯৫ সালের পর থেকে আলিগড়ে কখনও হারেনি বিজেপি। দীর্ঘ ২২ বছর পর সেই দূর্গে ফাটল ধরালো বহুজন সমাজ পার্টি।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম লখনউতে মহিলা মেয়র হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন বিজেপির সংযুক্তা ভাটিয়া। আশ্চর্যজনক ভাবে, মথুরা পৌর নিগমের নির্বাচনে লাকি ড্র- য়ের মাধ্যমে জয়লাভ করেছে বিজেপি। গণনার শেষে দেখা যায় বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থী দুজনেই ৮৭৪ টি করে ভোট পেয়েছেন। এরপরই লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী মীরা আগরওয়াল।

অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর পৌর নিগম নির্বাচনেও ধরাশায়ী কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। চলতি বছরের মার্চ মাসেই গেরুয়া শিবিরের কাছে কার্যত মাথানত করে সপা-কংগ্রেস জোট। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই যোগী আদিত্যনাথের প্রথম পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় সসম্মানে পাশ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*