“নাগরদোলা”

অনুপ বৈরাগীঃ

এমন কি কেউ আছো

নাগরদোলায় চড়বে এখন?

উপর নিচে ঘুরেফিরে

দেখবে কতো আলোর নাচন!

ওই দূরে বাবার কাঁধে বসে ছিল

ছোট মেয়ে এক

বলল তার বাবা দেখ খুকু দেখ

কেমন ঘুরছে চরকির মতো ;

চাপবি নাকি নাগরদোলায়?

চরকার মতো পাক খায়

দুলবি ,ভাসবি ,বুঝবি মজা কতো!

ছোট্ট খুকু অবাক হয়ে

ইয়া বড়ো বড়ো চোখে চেয়ে

বলে তুমি যদি থাকো পাশে বসে

জড়িয়ে ধরবো এমনি করে কসে

দেখবো ঝুলবো দোলায়

যদি ওই ওপরে মাকে দেখা যায়

তক্ষুণি খুব করে বকে দেবো –

বলবো তোমার সাথে আড়ি

বলবো তুমি পাজি ভারি

কেন শুধু দুরে দুরে রাখো

কত ডাকি আমি ,বাবা-

শুনতে পাওনা কি?

শুধু আকাশের তারা হয়ে থাকো!

চল তবে খুকু আমি রাজি

আজ খুব’করে বকা হবে

মা’টা দুষ্টু , বড়ো পাজি।

তারপর বাবা আর খুকু

নাগরদোলায় চেপে

যেই না দুলেছে এইটুকু

চোখ বুজে আঁকড়ে বাবাকে

মুখ গুঁজে চুপটি করে থাকে ,

ঘুরছে দোলা শব্দ হচ্ছে জোর

ঘ্যাঁঙর ঘ্যাং ক্যাঁচোর ক্যাচ

আরো কতো কতো শোর।

যখন ঘোরা থামে

বাবা দেখে খুকু তার কোলে

নাগরদোলায় দুলে দুলে সব ভুলে

স্বপ্ন দেখছে আদর মাখা ঘুমে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*