পৃথিবীর প্রথম ভাসমান দেশ

২০২০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর প্রথম ভাসমান দেশ হিসাবে প্রশান্ত মহাসাগরে তাহিতি দ্বীপের কাছেই গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট এই ধরনের পরিকল্পনা করেছে। আশা করছে ২০২০ সালের মধ্যে এটি গড়ে তোলা সম্ভব হবে । যেখানে মানুষ বসবাস করতে পারবে। মানুষদের কাজের জন্য মূল ভূখণ্ডে যেতে হবে না।কয়েক বছরের মধ্যেই হোটেল, বাড়ি, অফিস, রেস্তোরাঁ ও আরও কয়েকটি বিল্ডিং নির্মিত হবে। ভাসমান শহরেই থাকবে তাদের কর্মস্থল। সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট জানিয়েছে নগরজীবনের প্রায় সব সুবিধাই মিলবে । প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট জো কুইর্ক তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ব্লু ফ্রন্টিয়ার্স নামে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করিয়েছেন। সূত্র থেকে জানা যায়, জো কুইর্ক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া অঞ্চলে তাঁদের পরিকল্পনা সফল হলে সাগর-মহাসাগরে তাঁরা এমন আরও ভাসমান নগর গড়ে তুলবেন। তাঁর মতে, ভাসমান নগরগুলো হবে আসলে এক একটি ভাসমান দেশ। কারণ, এগুলো স্বায়ত্তশাসিত হবে। প্রাথমিকভাবে এই শহর গড়ে তুলতে খরচ হবে ১৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। পেপল প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েল দেখতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক জলের মধ্যে ভাসমান একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি এবং যারা নিজস্ব আইন অনুযায়ী কাজ করবে। জো কুইর্ক জানান, ভাসমান শহরের জন্য ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। জো কুইর্কের আশা, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে এমন হাজারো ভাসমান শহর থাকবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*