ভাগ্যিস মমতাদি মুখ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি : শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ নবমীর রাত তখন ৮টা। দক্ষিণ কলকাতার ম্যাডক্স স্কোয়ারে ৮ জন যুবক-যুবতীর আড্ডা বসেছে। এঁরা সবাই একই কলেজ থেকে বি টেক পাশ করেছেন। কিন্তু কর্মসূত্রে কেউ চেন্নাই, কেউ হায়দরাবাদ, কেউ পুণে, কেউ বেঙ্গালুরু, কেউ ভুবনেশ্বরে থাকছেন। পুজোর জন্যই এঁরা কলকাতায় এসেছেন। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে একসঙ্গে ঠাকুর দেখছেন। চেন্নাইয়ে যিনি থাকেন, সেই অমল সোম বললেন, উত্তরের শ্রীভূমি থেকে দক্ষিণের বড়িশার মধ্যে অন্তত ৫০টি মণ্ডপে না গেলেই নয়। সুরুচি সংঘ, মুদিয়ালি, কাশীবোস লেন, টালা বারোয়ারি, খিদিরপুর ২৫ পল্লি, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, গড়িয়া মিতালি সংঘ, নাকতলা উদয়ন সংঘ, এমন সব জায়গার প্রতিমার মুখ, মণ্ডপ, পরিবেশ, আবহ, থিম এবং অপূর্ব শিল্প সৃষ্টি না দেখলেই নয়। তখন বেঙ্গালুরুতে কর্মরতা নন্দিতা রায় বললেন, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী—এই তিন দিনে কলকাতার এত ঠাকুর দেখে শেষ করা যায় না। এখন তো আর আগেকার সেই দিন নেই। মুখ্যমন্ত্রী সেই দিক থেকে কাজের কাজটা করে দিয়েছেন। দেবী পক্ষ শুরু হওয়ার আগে মহালয়াতে শ্রীভূমিতে যান তিনি, যদিও প্রতিমার উদ্বোধন করেননি তিনি। মহালয়ার দিনই শুরু হয় উদ্বোধন। ১০ বছর আগে সপ্তমীতে যে ভিড় হতো, এখন তৃতীয়াতেই সেই ভিড় হচ্ছে। ভুবনেশ্বরের বন্ধু বললেন, এটাই আধুনিক ম্যানেজমেন্টের কৌশল। সবাই যাতে ঠাকুর দেখতে পারেন, দর্শনার্থীদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই ২০১৭ সালের দুর্গাপুজো ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ৩ তারিখে বিসর্জনের অপরূপ শোভাযাত্রা। অর্থাৎ মোট ১৫ দিন। বাঙালির সবচেয়ে বড়ো উৎসবে মানুষের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী উৎসবের দিন বাড়িয়ে দিয়েছেন। ভালোই হয়েছে। ফলে, দর্শনার্থীদের বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। বাঙালির দ্বিতীয় বড়ো উৎসব বইমেলা হয় ১২ দিন। কলকাতার বন্ধু স্বপন বসু বললেন, ভাগ্যিস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*