বাংলা যেকোনো জায়গার থেকে বিশ্বসেরা। বাংলার ছাত্র-যৌবন বিশ্বকে পথ দেখাবেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন্দ্রীয় সরকার ৪৮ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও আমরা সব প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা মাথা নত করি না।রাজ্যকে সাহায্য করার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ভেঙে দিচ্ছে। রাজ্য যে সব টাকা পায় সেগুলো দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।আমরা কৃষিজমিতে খাজনা মুকুব করে দিয়েছি। কৃষিজমির কেনা বেচায় কোনও মিউটেশন ফি লাগবে না।ভারতবর্ষে ১২০০০ কৃষক আত্মহত্যা করেছে। ঋণ শোধ করতে না পাড়ার জন্য অনেকে আত্মহত্যা করেছে। তাও, তাদের ঋণ মকুব করা হয় না। আর দু তিন জন লোক লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।

এফআরডিআই বিল বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।তেলের দাম বাড়ছে। জিনিসের দাম বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও সাধারণ মানুষ কোনও সুবিধে পেল না। আধারের নামে পরিষেবা দিচ্ছে না মানুষকে। দেশে লুঠেরাদের সরকার চলছে।আমি গোমাতাকে ভালবাসি, কিন্তু, তাও, গোরুর নিরাপত্তা আছে, জনগণের নেই। গোরুর আধার কার্ডে গোরুর নিরাপত্তা থাকবে আর মানুষের আধার কার্ডে ব্যাঙ্ক লুট করে নিয়ে যাবে, এই দুটো হতে পারে না। আধার কার্ড না থাকলে বলছে তুমি বিনাপয়সায় চিকিৎসা পাবে না। আজ লুটেরাদের রাজত্ব চলছে কেন?স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ব্যাঙ্ক টাকা দিতে চায় না। অথচ যাদের ফাঁকি দিয়ে নেওয়ার, তারা ঠিক টাকা নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।

বাংলার মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি।হিংসা, সন্ত্রাস, ভাগাভাগি, ভেদাভেদ আর নয়। নির্বাচন এলেই হিন্দু মুসলমান ভাগাভাগি করে কয়েকটা রাজনৈতিক দল।সিপিএমএর লজ্জা ঘেন্না ভয় নেই, ৩৪ বছর বাংলাটাকে শেষ করেছে। কংগ্রেস চিরকাল মালদা, মুর্শিদাবাদ পেয়েছে, কিছু করেছে মালদার জন্য?তৃণমূল কংগ্রেস সারা বাংলার জন্য অনেক করেছে ও করবে, পরিবর্তে কিছু চায়নি।দিল্লীতে সরকারের তো প্রায় ৪ বছর হয়ে গেল। ব্যাঙ্কের টাকা লুঠ হয়ে যাচ্ছে, হিসেব দাও। হিসেব চাই, হিসেব দাও, নইলে গদি ছেড়ে দাও।আমরা চাই সর্ব ধর্ম সমন্বয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*