চে

বিপ্লবীর কি কোনও দেশ আছে? অবশ্যই আছে। একজন বিপ্লবী প্রথম দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী তারপর তিনি বিশ্বপ্রেমিক, আন্তর্জাতিকতাবাদী। এসব ধারণাকে নতুন করে ভাবিয়ে দিয়েছিলেন আর্নেস্তো চে গুয়েভারা। জন্ম দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনায়। পড়তে পড়তেই তিনি বিপ্লবী। ডাক্তারি পাশ করার পর তিনি চলে যান কিউবায়। কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রো কিছু দেশপ্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে বাতিস্তার শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিলেন। তখন কিন্তু ফিদেলরা কমিউনিস্ট ছিলেন না। শোষণের বিরুদ্ধে মুক্তির সংগ্রামে চে গিয়ে হাত মেলালেন ফিদেলের সঙ্গে। বাতিস্তার শাসনের অবসান হলো। ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে নতুন সরকার হলো। সেই সরকার আমেরিকার সব বহুজাতিক কর্পোরেশনের মালিকানাধীন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল। চে তখন সেই সরকারের অর্থমন্ত্রী। এই শাসন চালাতে গিয়ে যে অর্থনীতি ফিদেল গ্রহণ করেন সেটা সনাতনি ভাষায় সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। মার্কসবাদ আরও পড়াশোনা করে ফিদেলরা হয়ে ওঠেন কমিউনিস্ট। দেশকে উন্নত করার কথা ভাবতে থাকেন।

চে-র মন এতে ভরল না। চে চলে গেলেন বলিভিয়ায়। একটা দেশের অর্থমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে চলে গেলেন জঙ্গলে। গেরিলা যুদ্ধ করবেন বলে। পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৬৭ সালের এই সময় বলিভিয়ার জঙ্গলেই মিলিটারির গুলিতে নিহত হন। কিন্তু ৫০ বছর ধরে বিশ্বের বিপ্লবীদের বুকে চে বেঁচে আছেন, থাকবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*