আজকের দিন

লক্ষ্মী বাঈ

(জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৮২৮ – মৃত্যু: ১৭ জুন ১৮৫৮)
ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিপ্লবী নেতা হিসেবে চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি ঝাঁসীর রাণী বা ঝাঁসী কি রাণী হিসেবেও সর্বসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের অন্যতম প্রতিমূর্তি ও পথিকৃৎ হয়ে রয়েছেন তিনি। মারাঠা শাসনাধীন ঝাঁসী ভারতের উত্তরাংশে অবস্থিত।
বাবা কোর্টের কাজ-কর্মে জড়িত থাকায় রাণী লক্ষ্মী বাঈ ঐ সময়ের অধিকাংশ নারীদের তুলনায় অধিক স্বাধীনতা ভোগ করতে পেরেছিলেন। আত্মরক্ষামূলক শিক্ষালাভের পাশাপাশি ঘোড়া চালনা, আর্চারী শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি তাঁর বান্ধবীদেরকে নিয়ে নিজস্ব একটি বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন।
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী

(জন্মঃ নভেম্বর ১৯, ১৯১৭ – অক্টোবর ৩১, ১৯৮৪)
তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের প্রথম ও আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী। প্রভাবশালী নেহেরু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করায়, তিনি এক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেন। তার পিতামহ মতিলাল নেহেরু একজন প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা ছিলেন। তার পিতা জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪১ সালে অক্সফোর্ড থেকে ফিরে এসে ইন্দিরা গান্ধী পিতার সাথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সাল থেকে অপেশাগত ভাবে জওহরলাল নেহেরুর অফিস সহকারীর কাজ করে আসছিলেন। ১৯৬৪ সালের জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। তখন ইন্দিরা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রীসভায় তথ্য ও প্রচার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৬ সালে প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বচিত হন৷ ১৯৭১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ইন্দিরা গান্ধী দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ একটানা ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইন্দিরা গান্ধী৷
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সলিল চৌধুরী

(নভেম্বর ১৯, ১৯২৩ – সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৯৫)
তিনি একজন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার। তিনি মূলত বাংলা, হিন্দি, এবং মালয়ালাম চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা হিসেবে এবং গণসংগীতের প্রণেতা হিসেবে তিনি একজন স্মরণীয় বাঙালি। তাঁর গুণগ্রাহীদের কাছে তিনি সলিলদা বলেই পরিচিত।
তাঁর সঙ্গীতপ্রতিভা মূলত ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পেই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তিনি একজন আয়োজক ছিলেন এবং বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র যেমন বাঁশি, পিয়ানো, এসরাজ ইত্যাদি বাজাতে জানতেন। তাঁর মৌলিক কবিতাগুলোর জন্যে তিনি ব্যাপকভাবে নন্দিত এবং প্রশংসিত।
তিনি কলকাতায় অবস্থিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বঙ্গবাসী কলেজ থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং এ সময়েই তার সঙ্গীত জ্ঞানে পরিপক্কতা লাভের পাশাপাশি দ্রুত তার রাজনৈতিক ধারণা জন্মায়। তিনি দারুণ মেধা সম্পন্ন ছিলেন।
তিনি প্রায় ৭৫টির বেশি হিন্দি চলচ্চিত্র, ৪০টির বেশি বাংলা চলচ্চিত্র, প্রায় ২৬টি মালয়ালাম চলচ্চিত্র, এবং বেশ কিছু মারাঠী, তামিল, তেলেগু, কান্নাডা, গুজরাটি, ওড়িয়া এবং অসামীয়া চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেন।
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

জিনাত আমান

(জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৯৫১)
বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ভারতের বিশিষ্ট পেশাদার সুপারমডেল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে বলিউডের হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৭০ সালে মিস ইন্ডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছিলেন। একই বছরে মিস এশিয়া প্যাসিফিকে অংশ নিয়ে শিরোপা জয় করেন। এরফলে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী হিসেবে এ শিরোপা জয় করেছেন।
হাঙ্গামা, হালচাল, হিরা পান্না, ইয়াদো কি বারাত, প্রেমশাস্ত্র, রোটি কাপড়া ওর মাকাম, মনোরঞ্জন, আজনাবি, পাপি, কালাবাজ, শালিমার, সত্যম শিবম সুন্দরম, ডন, টক্কর, রাম বলরাম, কিরবানি, দোস্তানা, লাওয়ারিস, সম্রাট, পিয়াস, পুকার, জাগির ইত্যাদি তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

সুস্মিতা সেন

(জন্ম ১৯ নভেম্বর, ১৯৭৫)
তিনি একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী. প্রাক্তন মডেল, সেন ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হিসেবে সম্মানিত হন।
সুস্মিতা প্রায়শই ভারতের সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ এবং চাকচিক্যময় মহিলা হিসাবে পরিচিত, সুস্মিতা সেন “রেনী” নামের এক মেয়ে বাচ্চাকে ২০০০ সালে দত্তক নিয়ে ইতিহাস তৈরি করেন।
ম্যায় হুঁ না, ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট, দুলহা মিল গ্যায়া, সময়: হোয়েন টাইম স্ট্রাইকস, নির্বাক, যদি এমন হতো, দস্তক, জোর, সির্ফ তুম, বিবি নং ওয়ান, ফিজা, নায়ক, আঁখে, তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে, চিঙ্গারী, ম্যায় অ্যায়সা হি হু, বেওয়াফা, আলাগ, নির্বাক, নো প্রবলেম তাঁর অভিনীত সিনেমা।
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*