প্রয়াত কিংবদন্তি সাহিত্যিক দেবেশ রায়, শোকের ছায়া সাহিত্যজগতে

প্রয়াত কিংবদন্তি সাহিত্যিক দেবেশ রায়। বুধবার তাঁকে তেঘরিয়া অঞ্চলের ঊমা নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে বৃহস্পতিবার ভেন্টিলেশনে রাখেন বলে খবর। রাত ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই সাহিত্যিক। ভার্টিগোজনিত সমস্যার কারণে শারীরিক ভারসাম্যের অভাবেও ভুগছিলেন তিনি। বুধবার ডিহাইড্রেশানজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। দেবেশ রায়ের পুত্র সস্ত্রীক আমেদাবাদের বাসিন্দা। মৃত্যু সংবাদ পেলেও লকডাউন জনিত কারণে দ্রুত কলকাতায় পৌঁছতে পারছেন না তিনি।

সাহিত্যিক দেবেশ রায়ের বেড়ে ওঠা উত্তরবঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কলকাতা শহরেও চুটিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করতেন, ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল শ্রমিকসমাজের সঙ্গে। ‘আহ্নিক গতি ও মাঝখানের দরজা’, ‘দুপুর’, ‘পা’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘পশ্চাৎভূমি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ও ‘উদ্বাস্তু’— এই আটটি গল্প নিয়ে দেবেশ রায়ের প্রথম গল্পের বই বেরিয়েছিল।

১৯৭৯ সাল থেকে তিনি এক দশক পরিচয়পত্রিকার সম্পাদনা করেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস যযাতি।  তাঁর রাজনৈতিক বীক্ষার ছাপই পড়ে  সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ততে’। উত্তরবঙ্গের জীবনের বহতা ধরা আছে এই উপন্যাসে। ১৯৯০ সালে এই উপন্যাসের জন্যেই দেবেশ রায় সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার পান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*