আজকের দিন

পরিনীতি চোপড়া

জন্ম : ২২ অক্টোবর ১৯৮৮

তিনি একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। ২০১১ সালে লেডিস ভার্সেস রিকি বেহেল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন । শুরুতে একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হতে চেয়েছিলেন পরিনীতি চোপড়া, তবে ম্যানচেস্টার বিজনেস স্কুল থেকে ব্যবসা, ফিন্যান্স এবং অর্থনীতিতে তিনটি স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর ২০০৯ সালে ভারতে চলে আসেন । ভারতে এসে যশ রাজ ফিল্মস -এ ‘জনসংযোগ পরামর্শক’ হিসেবে কাজ শুরু করেন । প্রতিষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থাতেই চলচ্চিত্র পরিচালক মনীশ শর্মা-র নজরে আসেন । পরবর্তীতে অডিশনের মাধ্যমে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিনেত্রী হিসেবে তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি লেডিস vs. রিকি বেহেল, ইশাকজাদে, শুদ্ধ দেশী, হাসি তো ফাসি, দাওয়াত এ ইশক, কিল দিল, মেরি পেয়ারি বিন্দু ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। জন্মদিনে রোজদিন-এর শুভেচ্ছা।

কাদের খান

জন্ম : ২২ অক্টোবর ১৯৩৫

তিনিএকজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, কমেডিয়ান, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লেখক এবং পরিচালক। তিনি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত ইসমাইল ইউসুফ কলেজে হতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। চলচ্চিত্র শিল্পে আসার পূর্বে (১৯৭০-৭৫) তিনি মুম্বাইয়ে অবস্থিত এম. এইচ. সাবু সিদ্দিক কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ পুরকৌশল এর একজন অধ্যাপক ছিলেন।

কাদের খান ১৯৭০ সাল থেকে একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ৪৫০টিরও বেশি হিন্দি এবং উর্দু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং ২৫০টিরও বেশি ভারতীয় সিনেমার সংলাপ লিখেছেন। তিনি অভিনয় করেছেন অন্তরঙ্গ, ইন ইউর আর্মস, মিঃ মানি, দিওয়ানা ম্যায় দিওয়ানা, ডোন্ট ওরি, দেশদ্রোহী, যাহান্‌ জায়েগা হামে পায়েগা, উমার, জিজ্ঞাসা, ফ্যামিলি: টাইস অব ব্লাড, কই মেরে দিল ম্যায় হ্যায়, খুললাম খুল্লা পেয়ার কারে, লাকি: নো টাইম ফর লাভ, ধাড়কান, মুজসে শাদি কারোগি, বাজার:, শুনো শ্বশুরজি, কৌন হ্যায় যো সাপ্নো ম্যায় আয়া, বাস্টি, চালো ইস্‌কে লাড়ায়ে, জীনা স্রেফ মেরে লিয়ে, ওয়াহ্‌! তেরা কেয়া কেহ্‌না, আখোন সে গুলি মারে, ইয়ে হ্যায় জালওয়া, বাধাই হো বাধাই, হা ম্যানে ভি পেয়ার কিয়া, সিন্দুর কি সোহাগান ইত্যাদি। তাঁর বিশেষ অভিনয়ের জন্য তিনি বহুবার ফিল্মফেয়ার সেরা কমেডিয়ান পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়াও সেরা সংলাপের পুরস্কারও পেয়েছেন। জন্মদিনে রোজদিন-এর শ্রদ্ধা।

আসফাকউল্লা খান

জন্ম : ২২ অক্টোবর ১৯০০

তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বীর যোদ্ধা যিনি রামপ্রসাদ বিসমিলের সাথে শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের উভয়কে একই দিনে আলাদা জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়।

আসফাকউল্লা জন্মগ্রহণ করেন উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে।তাঁর পিতা শফিকউল্লা খান পাঠান পরিবারের মানুষ ছিলেন এবং তাঁর পরিবার সামরিক দিক দিয়ে বিখ্যাত ছিল। তাঁর মায়ের দিক থেকে পরিবারটি ছিল অধিক শিক্ষিত এবং অনেক আত্মীয় ব্রিটিশ ভারতের পুলিশ এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মা মাজহুর-উন-নিসা ছিলেন একজন ধার্মিক নারী।

বিপ্লবীরা বুঝেছিলেন যে অহিংসার নরম কথার মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা আসবে না এবং তাই তাঁরা ভারতে বসবাসকারী ব্রিটিশদের ভেতরে ভীতির সঞ্চারের জন্য বোমা, রিভলভার এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করতে চাইলেন। বিসমিল সিদ্ধান্ত নিলেন সরকারি অর্থ লুট করার এবং সেই টাকা সেই সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার, যারা প্রতিনিয়ত ভারতকে ৩০০ বছরের অধিককাল ধরে লুট করছে। এটির মাধ্যমে শুরু হলও কাকোরী ট্রেন ডাকাতি।

ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং বারাণসী যাত্রা করেন, সেখান থেকে বিহার গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে।

আশফাক ছিলেন একজন নিষ্ঠ মুসলিম এবং মাতৃভূমির প্রতি তাঁর স্নেহ ছিলো অতুলনীয়। একজন হিন্দি কবি অগ্নিবেশ শুক্লা আশফাক কী আখিরি রাত নামে একটি দারুণ কবিতা লিখেছিলেন যেটাতে তিনি ভারতের এই মহান সন্তানের আবেগকে প্রকৃত অর্থেই ফুটিয়ে তুলেছেন। জন্মদিনে রোজদিন-এর শ্রদ্ধা।

তথ্য সংগ্রহ : মাসানুর রহমান

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*