নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানালেন দলের নেতা-কর্মীরা

সভাপতি পদে যখন তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়, তখন তিনি দিল্লিতে ছিলেন না। ব্যস্ত ছিলেন গুজরাট বিধানসভা ভোটের প্রচারে। আর মঙ্গলবার প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পর তিনি যখন নিজ বাসভবনে ফিরলেন, তখন তাঁকে স্বাগত জানতে বাড়ির সামনে নামল জনতার ঢল। বুধবার সন্ধ্যায় ১২, তুঘলক রোডের বাড়িতে পৌঁছন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এই প্রথম নিজ বাসভবনে এলেন। তাই এদিন বিকেল থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। সদ্য নির্বাচিত সভাপতিকে একবার সামনাসামনি দেখতে ও শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ ছাড়লেন না কেউই। ফুল, মিষ্টি নিয়ে তাঁরা হাজির ছিলেন সেখানে। সঙ্গে ছিল ব্যান্ড-পার্টিও দেদার আতস বাজি। এদিন রাহুল পৌঁছতেই তাঁরা উৎসবে মেতে ওঠেন। ফুল দিয়ে রাহুলকে স্বাগত জানান জাতীয় কংগ্রেসের দিল্লি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের বেশ কয়েকজন তাবড় নেতা। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অজয় মাকেন, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াও উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে। উপস্থিত ছিলেন ইউথ কংগ্রেস, ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া ও মহিলা কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর কংগ্রেসের সভাপতির পদ পরিবর্তন হয়েছে। এতদিন দায়িত্ব সামলেছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি সভানেত্রী থাকাকালীনই রাহুল গান্ধীর রাজনীতিতে আসা। সোনিয়া গান্ধী সভানেত্রী হলেও তিনি কার্যত হয়ে উঠেছেন দলের মুখ। দীর্ঘদিন ধরেই দলের নেতা ও কর্মী সমর্থকরা রাহুলকেই সভাপতি পদে দেখতে চাইছিলেন। অবশেষে রাহুল সভাপতির আসনে বসায় খুশির হাওয়া দলের অভ্যন্তরে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*