পরবর্তী ১০০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ভোটারদের সাহসী হওয়ার বার্তা মোদীর

বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনের দ্বিতীয়দিনে কংগ্রেস-তৃণমূলকে সরাসরি আক্রমণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহের। এ দিন বিজেপির সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দেশে দুর্নীতির জনক ছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের জমানায় দেশের অর্থনীতি প্রথম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে”। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদী বললেন, সামনের ১০০ দিনের মধ্যে বিজেপি কর্মীদের দেশের সকলের আস্থা অর্জন করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসকেও একযোগেই আক্রমণ করেন তিনি। সারদা দুর্নীতি থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমরা ২০২৯ এবং ২০৩৬ সালে ভারতে যথাক্রমে যুব অলিম্পিক এবং অলিম্পিক আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি। ২০৩০ সালের মধ্যে রেলওয়ে কার্বন নিঃসরণ শূন্য করার লক্ষ্য নিয়েছে।” পাশাপাশি এদিন বিজেপির সম্মেলনে মোদী তাঁর সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরলেন। তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা কয়েক দশকের পুরনো সমস্যার সমাধান করেছি। অযোধ্যা রাম মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে পাঁচ শতাব্দীর অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সাত দশক পর, কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন করা হয়েছে। সাত দশক পর অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে। ছয় দশক পরে, রাজপথের নামকরণ করা হয়েছে কর্তব্য পথ। চার দশক পর, ওয়ান ব়্যাঙ্ক ওয়ান পেনশনের দাবি পূরণ হয়েছে। তিন দশক পর, দেশে নতুন শিক্ষানীতি এবং মহিলাদের সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিল পাশ করা হয়েছে। আমরা তিন তালাকের বিরুদ্ধে একটি আইনও এনেছি।”

প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন, ‘আমিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি লাল কেল্লা থেকে শৌচালয়ের বিষয়টি তুলেছিলাম। মহিলাদের প্রতি অবমাননাকর শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। আমরা দেশকে মেগা কেলেঙ্কারি, সন্ত্রাসী হামলা থেকে মুক্ত করেছি; দরিদ্র, মধ্যবিত্তদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার প্রচেষ্টা করেছি, প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*