অল্পের জন্য রক্ষা! বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই মমতার, ফিরছেন কলকাতায়

বর্ধমানের গোদার মাঠে সভা সেরে কলকাতা ফেরার পথে আচমকাই দুর্ঘটনা। চোট পেয়ে তড়িঘড়ি কলকাতার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামান্য। জানা গিয়েছে, সভার মাঠ থেকে বড় রাস্তায় ওঠার সময় মুখ্যমন্ত্রী যে গাড়িতে বসেছিলেন তার চালক আচমকাই ব্রেক কষেন। ঝাঁকুনিতে মমতা কপালে সামান্য চোট পান। যদিও পরে সেই গাড়িতেই তিনি কলকাতা রওনা হয়ে গিয়েছেন।

বুধবার সকালে প্রশাসনিক সভা করতে বর্ধমানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হেলিকপ্টারে গেলেও আবহাওয়া খারাপ থাকায় তিনি ফেরেন সড়কপথে। সেখানেই ঘটল বিপত্তি। জানা গিয়েছে, গোদার মাঠের সভা শেষ হওয়ার পর সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সঙ্গে ছিল কুয়াশাও। এই দুর্যোগের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় গোদার মাঠ থেকে জিটি রোডে উঠতে শুরু করে। জিটি রোড সভাস্থলের চাইতে কিছুটা উপরে। ফলে চালককে গাড়ির গতিবেগ বৃদ্ধি করতে হয়। আবার জিটি রোডে উঠে গতি কমাতে হয়। দুর্যোগের মধ্যে তা করতে গিয়ে গতির হেরফেরে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির চালক আচমকা ব্রেক কষেন। তাতেই ঝাঁকুনিতে মমতার কপাল গিয়ে ঠেকে গাড়ির সামনের দিকে। কপালে সামান্য আঘাত পান মমতা।প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তার পরেই নিজের কপালে একটি রুমাল জড়িয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কনভয় আবার রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে।

বুধবার সকালে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাড থেকে মুখ্যমন্ত্রী উড়ে যান বর্ধমানে। সেখানে প্রশাসনিক সভা করেন তিনি। কথা ছিল, সভা শেষ করে আবার হেলিকপ্টারেই কলকাতা ফিরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের বদলে সড়কপথে কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত হয়। সভাস্থল থেকে হেঁটে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে ওঠেন তাঁর গাড়িতে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে চালকের পাশের আসনে উঠে বসেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী। গাড়ি এগোতে থাকে জিটি রোডের দিকে। সভাস্থল থেকে জিটি রোডে ওঠার মুখটি বেশ খাড়া। সে জন্য চালককে গাড়ির গতিবেগ বৃদ্ধি করতে হয়। আবার জিটি রোডে উঠে কমাতে হয় গতি। সেই সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। ছিল কুয়াশাও। গতির হেরফেরের জেরেই গাড়িতে ঝাঁকুনি হয়। তাতে মুখ্যমন্ত্রী কপালে সামান্য আঘাত পান। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও পর্যন্ত সরকারের কেউ স্বীকার করেননি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*