কাঁচরাপাড়ার কাচরার হাত থেকে বেঁচে গেল দল : পার্থ

কাঁচরাপাড়ার কাচরার গল্প শুনলাম। বিরাট শূন্যতা নিয়ে কোন ভাষায় কথা বলছেন। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ইতিহাস ভুল বলেছেন। যে কথাগুলো বলেছেন, তার কোনও মূল্য নেই আমাদের কাছে। ফেসলেস, বেসলেস কথা। দল বাঁচল কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলের হাত থেকে। এবার আমরা শান্তিতে ঘুমোতে পারব। সিবিআই যেদিন ডাকল, সেদিন থেকে দলের কোনও নির্দেশ না নিয়েই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলে কাঁচা রাজনীতি করছেন। দলের কর্মীরা চাকর নয়, দলের কর্মীরা আমাদের সহকর্মী। রোল মডেল হিসেবে পার্টি একজনকে রেখেই চলে। আমাদের কাছে মমতা ব্যানার্জি রোল মডেল। ২০০১ সালে মমতা ব্যানার্জির ছবি নিয়ে বহু ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর তো কত পদই না দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। আর এখন দিনের শেষে বলছেন একজনকে দিয়ে পার্টি চলবে না। উনি তো জমিদার। এখানে জমিদারি চলবে না। দলটা বেঁচে গেছে কাঁচরাপাড়ার কাঁচা লোকের হাত থেকে উনি মিথ্যা বলছেন। দল নাকি বলেছিল অশোক সিঙ্ঘল ও আরএসএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন। এর প্রমাণ দিতে হবে। কখনও বিজেপি কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করছে তাই তিনি দল ছেড়ে দিয়েছেন। তখন ছাড়েননি কেন? বিবেকের তাড়নায় তখনই তো ছেড়ে দিতে পারতেন। অজয় মুখার্জির সঙ্গে নিজেকে তুলনা করছেন। অজয় মুখার্জির নাম দেশের সঙ্গে জড়িত আর কাঁচারপাড়ার ছেলের নাম রেলের সঙ্গে জড়িত। উনি আমাদের দলের নেত্রীকে বারবার অপমান করেছেন। দলের ভেতর থেকে বিশ্বাসহীনতা, গদ্দারি করেছেন উনি। এরকম কেউ করেছে কোনওদিন। ওনার পিছনে কেউ সুতো ধরে আছে। এতদিনে বুঝলেন বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়। আসলে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে বিজেপিতে ঢোকার চেষ্টা করছেন। মনে রাখবেন আজকের দিনের ছবিটা কাঁচরাপাড়ার ছেলের সংসদীয় জীবনের শেষ ছবি। ছবি তুলে বাঁধিয়ে বাড়িতে টাঙিয়ে রাখুন।মুকুল রায় দিল্লিতে রাজ্যসভার সাংসদ পদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তার পরপরই সাংবাদিক সম্লেলন করে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ছবি- প্রশান্ত দাস

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*