পদকে সম্মান করি, রাজ্যপালের রাজনৈতিক বক্তব্যকে সমর্থন করি নাঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসগরের আবক্ষ মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মঙ্গলবার প্রথমে হেয়ার স্কুলে নব নির্মিত বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভাপ্রসন্ন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। সেখানে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। একে একে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিশিষ্টজনেরা।

এরপর হেয়ার স্কুল থেকে মূর্তি নিয়ে হেঁটে বিদ্যাসাগর কলেজে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন বিদ্যাসাগরকে। পরে মমতা বলেন, এটা মূর্তি ভাঙা নয় আমাদের কৃষ্টিকে আঘাত করা হয়েছে। ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙলেও বর্ণপরিচয়ের গুরুত্বকে খর্ব করা যাবে না বলে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর তোপ গান্ধীজি গুজরাতে সম্মান পাননি বাংলায় পেয়েছেন।

এদিন একইসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর ভূমিকা নিয়েও ৷ তাঁর অভিযোগ, খুনের রাজনীতি করছে বিজেপি ৷ মারা গেলেন ১০ জন ৷ রাজ্যপাল বলছেন, ১২ জন। মমতা আরও বলেন, জগদ্দলে খুন হলেন তৃণমূলকর্মী ৷ ভোটের পর থেকে ১০ জন নিহত ৷ এই ১০ জনই তৃণমূলের ৷ মারা গেলেন ১০ জন, রাজ্যপাল বলছেন ১২ জন ৷ তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে থাকা উচিত ৷ রাজ্যপাল পদের সম্মান করি ৷ তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য সমর্থন করি না ৷

অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার ৷ পরিবারগুলিকে সাহায্য করা হবে ৷ সন্দেশখালিতে কেন অশান্তি? তৃণমূলকর্মীদের মারতে গেলে সংঘর্ষ হয় ৷ সন্দেশখালিতে বিজেপি-র যাঁরা মারা গেলেন, তাঁরা কায়ুমকে মারতে গিয়েছিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*