মোষ চুরির অপরাধ, গণপিটুনির জেরে মৃত যুবক

আবার গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। এ বার মোষ চুরির সন্দেহে পিটিয়ে মারা হলো দুবাইয়ে কর্মরত এক ২২ বছরের যুবককে।

বুধবার গভীর রাতে এই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে উত্তর প্রদেশের বরেলি জেলার ভোলাপুর, হিন্দোলিয়ায়। জনৈক খান মাস দেড়েক আগেই দুবাই থেকে ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। নিহত খানের দাদা ফিরোজ জানিয়েছেন, বুধবার রাতে তাঁর ভাইকে বন্ধুরা ফোন করেন। তারপর অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে পরিবারের লোক। এ দিন সকালে পুলিশের তরফে খানের বাড়িতে ফোন করে বলা হয়, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে পৌঁছেই বাড়ির লোক জানতে পারেন, পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁকে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ গ্রামবাসীরাই খবর দেন তাঁদের। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় খানকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন খান। তাঁর চোট লাগে কিডনিতে। এছাড়াও দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাঁরা পালিয়ে গেলেও গ্রামবাসীরা ধরে ফেলেন খানকে। তারপর সেখানেই শুরু হয় মার। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মোষ চুরির কারণেই এই ঘটনা।

খানের দাদার দাবি, তাঁর ভাই দুবাইতে যথেষ্ট ভাল কাজ করেন। তিনি কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্তি থাকতে পারেন না। পুলিশ দুটি পৃথক মামলা রুজু করেছে। একটি মোষ চুরি এবং অন্যটি পিটিয়ে হত্যা। খানের সঙ্গে থাকা তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সওয়া দুটো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার ক্রা যায়নি।

গণপিটুনির ইস্যুতে এমনিই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এ নিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনে হইচইও কম হয়নি। বিরোধীদের দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই বারবার এই ঘটনা ঘটছে। যোগীর রাজ্যের এই ঘটনা বিরোধীদের বক্তব্যকেই আরও জোরালো করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*