ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগের পরেই ট্যুইট মমতার; সোমবার উপস্থিত থাকবেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে

বিশেষ প্রতিনিধি,

গতকালই তাঁর ট্যুইটে তৃতীয় ফ্রন্ট ও আঞ্চলিক দলগুলির স্বপক্ষে সওয়ালের বার্তা ছিল। এদিন আস্থা ভোটের আগেই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করায় দ্রুত নিজের প্রতিক্রিয়া জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি টুইটে বলেন, ‘গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। কর্ণাটকবাসীকে শুভেচ্ছা। শুভেচ্ছা দেবেগৌড়া, কুমারস্বামী, কংগ্রেস ও অন্যান্যদের। এটা ‘আঞ্চলিক’ জোটের জয়।’

পাশাপাশি এদিন আরেকটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমি সবেমাত্র কুমারাস্বামী জির সঙ্গে কথা বললাম এবং ওনাকে অভিনন্দন জানালাম। উনি আমাকে সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। 

জানা গিয়েছে, সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীও। 

যেভাবেই হোক বিজেপির জয়যাত্রার অশ্বমেধের ঘোড়া থামাতে হবে। তেমনই মনোভাব ছিল দেশের বিরোধী শিবিরের। তাই আস্থাভোটের আগেই ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফায় উজ্জীবিত দেশের বিরোধী শিবির। এদিন কর্ণাটক বিধানসভায় ইয়েদুরাপ্পা ইস্তফা ঘোষণা করতেই টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত হওয়ায় জনতা দল সেকুলার প্রধান দেবেগৌড়া, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কুমারস্বামী ও কংগ্রেসকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে বলেন,গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। কর্ণাটকবাসীকে শুভেচ্ছা। তাঁর ট্যুইটে এদিন আঞ্চলিক দলের উত্থানে তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা নজর কেড়েছে। গত সোমবার কর্ণাটকের ভোটের ফল বেরোতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। বলেছিলেন, কংগ্রেস – জেডিএস জোট হলে ভোটের ফল অন্যরকম হতে পারত। শনিবার আস্থাভোটের আগে ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার মমতার দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ২০১৯-কে পাখির চোখ করে জাতীয় রাজনীতিতে কড়া নজর রেখেছেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*