বাংলাদেশের ক্লাবের বিরুদ্ধে ড্র, চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে পৌঁছে গেলো এটিকে মোহনবাগান

জয়ের হ্যাটট্রিক হল না হলেও বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ড্র করে এএফসি কাপের নক-আউট তথা ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলো এটিকে মোহনবাগান। মঙ্গলবার ২৮ মিনিটে ফার্নান্ডেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ক্লাব। ৬২ মিনিটে সবুজ-মেরুনকে সমতায় ফেরান ডেভিড উইলিয়ামস।

নক-আউটে ওঠার জন্য মঙ্গলবার বাগানের মাত্র এক পয়েন্টের দরকার ছিল। সেখানে বসুন্ধরা কিংসকে জিততেই হত। কিন্তু মঙ্গলবার মালদ্বীপ ম্যাচের শুরুতে মনে হচ্ছিল, তিন পয়েন্টের জন্যই নেমেছেন হাবাসের ছেলেরা। শুরুতেই বসুন্ধরার রক্ষণ এবং গোলরক্ষক আনিসুর রহমানকে কার্যত ভ্যাবাচাকা খাইয়ে দেন উইলিয়ামস। কিন্তু ১৮ মিনিটে সেই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন লিস্টন কোলাসো।

কিন্তু পাঁচ মিনিট পরেই বসুন্ধরার জালে বল জড়িয়ে দেওয়ার আরও কাছে চলে আসে এটিকে-মোহনবাগান। দুর্ধর্ষ ব্যাকভলি মারেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু গোল আসেনি। উলটে পাঁচ মিনিটে পরে গোল হজম করে হাবাস ব্রিগেড। ১৫ গজ থেকে ফার্নান্ডেজের নীচু শট অমরিন্দর সিংকে পরাস্ত করে।

সেই পরিস্থিতিতে নক-আউটের দিকে এক পা বাড়িয়ে ফেলেছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু বাংলাদেশের ক্লাবের সেই স্বপ্ন ধাক্কা খায় প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়। মিডফিল্ডার সুশান্ত ত্রিপুরাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয়। ম্যাচের উত্তাপও বাড়তে থাকে। সেই উত্তাপ কাটিয়ে বাড়তি একজন খেলোয়াড়ের ফায়দা নিতে কোনও কসুর ছাড়েনি সবুজ-মেরুন শিবির। সেই চেষ্টার ফলও মেলে ৬২ মিনিটে। উইলিয়ামসের রান থামাতে পারেনি বসুন্ধরার রক্ষণ। কোলাসোর পাস থেকে একেবারে ধীরস্থিরভাবে বসুন্ধরার জালে বল ঢুকিয়ে দেন।

তারপরও অবশ্য চাপ কমিয়ে দেননি হাবাসের ছেলেরা। শেষপর্যন্ত ১-১ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। গ্রুপ ‘ডি’-তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে উঠে যায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*