খেলোয়াড়, দর্শকদের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশ্বমানের

যুব হলেও, আখেরে বিশ্বকাপ ফুটবলই। তাই খেলোয়াড়, ভিআইপি ও দর্শকদের জন্য মজুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও যাতে বিশ্বমানের হয়, তা পাকা করতে বদ্ধপরিকর সরকার। ফিফার নির্দেশিকা মেনে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একটি তিন শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট খুলে ফেলেছে স্বাস্থ্য ভবন। জীবনদায়ী পরিষেবা দেওয়ার উপযোগী এই হেলথ ইউনিটটি বিশ্বকাপের উদ্বোধনের দিন খোলা হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশ্যালিস্টদের পাশাপাশি নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং যাবতীয় জরুরি পরিকাঠামো সেখানে বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত মজুত থাকবে।

একনজরে —

  • বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ২০টি, বিধাননগর মাতৃসদনে ৫টি এবং আইএলএস, সল্টলেক আমরি ও কলম্বিয়া এশিয়াতে ২টি করে ইমার্জেন্সি শয্যা-সহ মোট ৫টি করে বেড সংরক্ষণ।
  • হাই আলার্ট কলকাতার ৫টি মেডিক্যাল কলেজ ও তাদের ব্লাডব্যাঙ্কগুলিকে।
  • ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মধ্যেই থাকছে ৩ শয্যার একটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট
  • খেলা চলাকালীন মাঠেই থাকছে ‘ফিফা মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ব্যাগ’ যা দিয়ে অন্তত একঘণ্টা জীবনদায়ী পরিষেবা দেওয়া সম্ভব মুমূর্ষুকে।
  • খেলোয়াড়দের জন্য মাঠেই প্রস্তুত থাকবে অ্যাপোলো গ্লেনিগেলসের ‘সাইডলাইন হেলথ টিম’ ও ‘প্লেয়ার্স মেডিক্যাল ইউনিট’
  • দর্শকদের জন্য স্টেডিয়ামের ৮টি জায়গায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে মজুত থাকছে সরকারি মেডিক্যাল কিয়স্ক।
  • যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের দূরত্বে থাকছে রাজ্য সরকার ও সেফ লাইফ ফাউন্ডেশনের মোট ৩টি অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও ৯টি বেসিক লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স।
  • তাপমাত্রা নয়, খেলা চলাকালীন মাঠের মধ্যে অনুভূতিটা যদি ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যায়, তাহলে দু-মিনিটের কুলিং ব্রেক পাবে খেলোয়াড়রা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*