কে কোথায় গেলো খোঁজ রাখি না, সব্যসাচী ইস্যুতে মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়

বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সব্যসাচী দত্ত। আগামিকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জার্সি বদলে বিজেপিতে যাবেন তিনি। এমনটাই সূত্রের খবর। অমিত শাহের হাত ধরে দলবদল করবেন তিনি। শুধু সব্যসাচী একা নন, তাঁর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বহু কাউন্সিলর। পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তারা।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এরকম অনেকেই দল ছেড়ে গিয়েছে। দল ছেড়ে গিয়ে ভেসে গিয়েছে তারা। কে কোথায় গেল, তার খোঁজ রাখি না।” কার্যত এভাবেই সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টিকে কার্যত উপেক্ষাই করলেন শিক্ষামন্ত্রী।

প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের সময় সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে মুকুল রায়ের উপস্থিতি ঘিরে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়। এখানেই শেষ নয়, বিধাননগর পুরসভার মেয়র থাকাকালীন অবস্থাতেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সব্যসাচী। এমনকি খোদ দলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন তিনি। যে ভূমিকাতে ক্ষুব্ধ হন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি সব্যসাচীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই সব্যসাচী দত্তকে বাদ রেখেই বিধাননগরের সমস্ত কাউন্সিলরকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয়। তৃণমূল ভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে সবস্যাচীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সব্যসাচীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর জন্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়।

আর এরপরেই বিধাননগর মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকতে মেয়রের পদ থেকে সব্যসাচী সরে যেতে বাধ্য হন। সেদিন রাতেই সব্যসাচীর সঙ্গে দেখা করেন মুকুল। জল্পনা শুরু হয় যে, এরপরেই কি বিজেপিতে যাবেন তিনি। কিন্তু তা খারিজ করে দেন সব্যসাচী। জানান, দাদা হিসাবে গাইড করতে এসেছিলেন মুকুলবাবু। এরপর কখনও গণেশ পুজোতে গোটা বিজেপি নেতৃত্বকে নিয়ে আসা তো কখনও মোদীর জন্মদিনে যজ্ঞ করা, একের পর এক কর্মসূচি তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনাকে আরও জিইয়ে রাখে। অবশেষে সেই জল্পনা উড়িয়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। তবে বিষয়টিকে যে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল, তা দলের মহাসচিবের কথাতেই স্পষ্ট।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*