জলের ট্যাঙ্কে ফেলে গেঁথে দেওয়া হচ্ছিল পাঁচিল, ওষুধ ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়

পরশু বাড়ি থেকে স্ত্রীকে বলে বেরিয়েছিলেন ব্যবসার কাজে যাচ্ছি। কিন্তু তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। ভবানীপুরের ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় বিডন স্ট্রিট থেকে। সেই ফোনেরই সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে, মোবাইলের শেষ কথা হয় ব্যবসায়ীর নিমতার বন্ধুর সঙ্গে। তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই রহস্যভেদ। ৃজলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর দেহ। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, জলের ট্যাঙ্কে দেহ ফেলে বাইরে থেকে পাঁচিল গেঁথে দেওয়া হচ্ছিল। তার আগেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করেছে। ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, তার ‘বিজনেস পার্টনারে’র বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ভব্য লাখানি (৪৪)। ওই বাসিন্দা ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক লেনের বাসিন্দা। নিমতার ঘটনায় সুমন দাস এবং অনির্বাণ গুপ্ত নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরশু থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ব্যবসায়ীর স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামী সোমবার ব্যবসার কাজেই যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মঙ্গলবার তিনি ভবানীপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ বিডন স্ট্রিট থেকে মোবাইল উদ্ধার করে।
এরপর সেই ফোনেরই সূত্র ধরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ‘ক্লু’ পায় পুলিশ। ফোনে একবার ব্যবসায়ী তাঁর স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন নিমতায় বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছি। সেখানে যেতেই পুলিশ রহস্যভেদ করে। পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে, কিন্তু তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি থাকায়, সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির পাশে জলের ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালাতেই দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে উইকেট দিয়ে মারা হয়েছে। তারপর দেহ জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়। প্রমাণ লোপাট করতে বাইরে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*