হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন পরিবেশকর্মী জি ডি আগরওয়াল, শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী

অবিলম্বে গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার দাবি জানিয়ে আমরণ অনশনে বসেছিলেন গত ২২ জুন। বুধবার পুলিশ তাঁকে হৃষিকেশে এইমসে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার মারা গেলেন পরিবেশকর্মী জি ডি আগরওয়াল। বয়স হয়েছিল ৮৭। হাসপাতাল থেকে জানিয়েছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
জি ডি আগরওয়াল স্বামী জ্ঞানস্বরূপ সানন্দ নামেও পরিচিত ছিলেন। একসময় আইআইটি কানপুরের অধ্যাপনা করেছেন। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদেরও সদস্য ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একাধিক চিঠি দিয়ে দাবি করেন, গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। ‘আইআইটিয়ান্স ফর ক্লিন গঙ্গা’ নামে এক সংগঠনের দাবি, সরকার তাঁর দাবিতে কান দেয়নি।
অনশনের দিনগুলিতে জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতেন জি ডি আগরওয়াল। পরে তাঁর মনে হয়েছিল, সব আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে।  সেজন্য শেষের দিকে জলপান সুদ্ধু ছেড়ে দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় নদী উন্নয়ন ও গঙ্গা পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী নীতিন গাদকারি গত অগাস্টে বলেছিলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে গঙ্গা ৭০-৮০ শতাংশ দূষণমুক্ত হবে। ২০২০ সালের মধ্যে আর দূষণ থাকবেই না। জি ডি আগরওয়ালের মৃত্যুতে টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৮ সালে পদ্ম সম্মান দেওয়া হয়েছিল ৮৪ জনকে।  ২০১৭ সালে পেয়েছিলেন ৮৯ জন।  কিন্তু ২০১৯ সালের জন্য ৪৯,৯৯২ জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে পুরস্কার প্রাপকদের। ২০১৭ সালে ৩৫, ৫৯৫ জনের নাম জমা পড়েছিল। ২০১৬-য় জমা পড়েছিল ১৮,৭৬৮ জনের নাম। অর্থাৎ প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুপারিশ করা নামের সংখ্যা।
পদ্ম সম্মান তিন রকমের। পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। ১৯৫৪ সাল থেকে ওই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিবছর সাধারণতন্ত্র দিবসে এই পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, সমাজসেবা,  বিজ্ঞান ও অন্যান্য যে কোনও ক্ষেত্রে যাঁরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন, তাঁরা ওই পুরস্কার পেয়ে থাকেন। ২০১৬ সাল থেকে অনলাইনে যে কেউ পদ্ম পুরস্কারের জন্য নাম সুপারিশ করতে পারেন। এমনকী নিজের নামও সুপারিশ করা যায়। ২০১৯ সালের জন্য সুপারিশ নেওয়া শুরু হয়েছিল ১ মে।  শেষ হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*