রামমন্দিরের পর কী? অযোধ্যা থেকে বড় ঘোষণা মোদির

অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে ‘সমর্থ, সক্ষম, ভব্য, দিব্য ভারত’ প্রতিষ্ঠিত হল। সোমবার ‘ঐতিহাসিক’ মন্দির উদ্বোধনের পর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ‘মন্দির এহি বানায়েঙ্গে’ অর্থাৎ মন্দির এই জমিতেই তৈরি হবে স্লোগানও বাস্তবে পরিণত হল। কিন্তু এর পর কী? বিজেপি তথা রাষ্ট্রনেতা মোদির রাজনৈতিক অভিমুখ কী হবে? 

নিজের ভাষণে আবেগ বিহ্বল প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনুভব করছি মঙ্গলময় স্থানে পবিত্র দিনে দৈব আত্মাদের উপস্থিতি। অনুভব করছি কালচক্রে বদলাচ্ছে। ‘এহি সময় হ্যায়, সহি সময় হ্যয়’।” বাল্মিকীর শ্লোক পাঠ করেন মোদি। যার অর্থ “আগামী হাজার বছরের জন্য প্রতিষ্ঠিত হল রামরাজ্য।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামমন্দির তো হল। কিন্তু এর পর কী?” নিজেই উত্তর দেন, “এবার মন্দির নির্মাণ থেকে ভারত নির্মাণ অর্থাৎ রাষ্ট্রনির্মাণ। সমর্থ, সক্ষম, ভব্য, দিব্য ভারত প্রতিষ্ঠিত হওয়া চাই দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হনুমানজির মধ্যে যে গুণ, সেই ভক্তি, সেবা, সমর্পণ রয়েছে দেশের সমস্ত মানুষের অন্তরে।” ফলে এবারের যাত্রা দেব থেকে দেশ, রাম থেকে রাষ্ট্র অবধি।” উল্লেখ্য, বাবরি বিতর্কের পর যোগীরাজ্যেরই জ্ঞানবাপী এবং মথুরার ইদগাহ মসজিদ নিয়ে কতটা একই ধরনের মামলা চলছে দেশের একাধিক আদালতে। বিরোধীদের দাবি, রামমন্দিরের পরেও মন্দির-মসজিদ রাজনীতিই চালিয়ে যাব বিজেপি। যদিও এদিন নিজের ভাষণে দেশ নির্মাণের বার্তা দিলেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। নিজের ভাষণে রামলালার কথা বলার পাশাপাশি চন্দ্রযানের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আধ্যত্মিকতায় এক নতুন ভারত গড়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। কেবল আত্মনির্ভর নয়, আত্মবিশ্বাসীও হবে যে ভারত। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*