এভাবে নির্বাচিত সরকারকে কি ফেলা যায়? বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি খারিজ শাহের

বাংলার আইনশৃঙ্খলার খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে সুর চড়িয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীরা। দিল্লিতে অমিত শাহের দরবারে গিয়েই সেকথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে বঙ্গ সফরে এসে দলীয় নেতৃত্বের দাবি খারিজ করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একটি নির্বাচিত সরকারকে কি এভাবে সরিয়ে ফেলা সম্ভব, পালটা প্রশ্ন তাঁর।

দু’ দিনের সফরে বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার নিউটাউনের একটি হোটেলে সাংগঠনিক বৈঠক সারেন তিনি। সেখানেই আরও একবার, ৩৫৫, ৩৫৬ ধারা লাগুর দাবি তোলেন দলীয় নেতানেত্রীরা। তবে সে দাবি খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি পালটা প্রশ্ন ছোঁড়েন, “এভাবে কি কোনও নির্বাচিত সরকারকে ফেলা সম্ভব?” রাজনৈতিক মহলের মতে, বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি যে খারিজ করে দিয়েছেন অমিত শাহ, তা তাঁর প্রশ্নেই স্পষ্ট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলতেই বারবার রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি উঠেছে। কিন্তু সেই কৌশলকে যে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না অমিত শাহ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের উপর কিছুটা ক্ষুন্ন শীর্ষ নেতা? একাধিক ভোটে খারাপ ফলাফলের জন্য বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের উদাসীনতাকেই কি দায়ী করছেন দিল্লির নেতারা? সে কারণেই কি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে শাহের মতবিরোধ?

রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি খারিজের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দেন অমিত শাহ। একজন লড়াকু রাজনীতিক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদাহরণ রূপে তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর মতো লড়াই করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা শাহের। মনোবল না হারিয়ে নতুন করে শূন্য থেকে শুরু করার টোটকা শাহের। বিজেপি নেতৃত্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয়। বারবার তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বঙ্গ বিজেপি সেভাবে টুইটারকে প্রচারের মাধ্যম হিসাবে কাজে লাগাতে পারছে না বলেও দাবি অমিত শাহের। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের পারফর্ম্যান্স যে তলানিতে ঠেকেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*