১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে বকেয়া ১৫ শতাংশ ডিএ

২০১৯-এর মধ্যে দেওয়া হবে বাকি, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ২০১৭ নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-এর ১৫ শতাংশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিলেন ২০১৯ সালের মধ্যে বাকি ডিএ দিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রাপ্তি এবং আশ্বাস পেয়ে উপস্থিত সরকারি কর্মচারীদের ভিতর দুর্গাপুজোর আগেই যেন উৎসবের সূচনা হয়ে যায়। আগামী ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে এই বকেয়া ১৫ শতাংশ ডিএ পাওয়া যাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বছর থেকে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি ২৭ থেকে বেড়ে ৩৫ হয়ে গেল।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের জেলায় জেলায় বদলি হতে হয়। তখন তাঁদের ছেলে-মেয়েদের ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার জন্য উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীরা আমাদের গর্ব। তাঁদের কাজ নিয়ে যাতে কেউ আঙুল তুলতে না পারে, সে ব্যাপারেও কর্মীদের যত্নবান হতে হবে। সরকারি কর্মীদের আরও দক্ষ বানানোর জন্য বিধাননগরে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের পাশে তৈরি হচ্ছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেন, আপনাদের দাবিদাওয়ার কথা আলাদা করে বলার কি আছে। আমি সবই বুঝি। সরকার আপনাদের পাশে আছে। আপনারাও সরকারের সঙ্গে থাকুন, মানুষের সঙ্গে থাকুন। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। কেউ সরকারি দফতরে কাজ করতে এসে যেন অসুবিধার সম্মুখীন না হয়।

বামফ্রন্ট সরকারের করে যাওয়া ঋণের বোঝা এবং তার সুদ মেটাতে গিয়ে সরকারি কোষাগারের অনেকটাই খরচ হয়। তা সত্ত্বেও সরকার এই মহার্ঘ ভাতার ব্যবস্থা করল। এর জন্য রাজ্য কোষাগার থেকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। ঋণের বোঝার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিমাতৃসুলভ আচরণের কথাও বলেন তিনি।

রাজ্যে ৯২টি ডিরেক্টরেট রয়েছে। প্রত্যেকটির নিয়ম আলাদা। ডিরেক্টরের কর্মীরা যাতে যুগ্মসচিব পর্যায়ে পদোন্নতি পেতে পারে সে জন্যও আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।

এদিন নজরুল মঞ্চে সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতির হার এতই বেশি ছিল যে তিলধারণের স্থান ছিল না। অবস্থা এমন পর্যায় দাঁড়ায় যে দরজা বন্ধ করে দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আসতে দিন। পরে তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আমাদের উচিত ছিল নেতাজি ইনডোরের মতো বড়ো জায়গায় এই সভা করা। কিন্তু ওখানে অন্য অনুষ্ঠান চলছে। এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীরা নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে যে কোনও হলই নিতে পারেন। কিন্তু আমি তা চাইনি। যেহেতু খেলা কর্তৃপক্ষ অনেক আগে থেকেই ইনডোর বুক করে রেখেছিল, তাই আমি অন্য হল বুকের কথা বলি। আপনাদের স্থান দিতে পারলাম না বলে আমি আপনাদের কাছে দুঃখিত। সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এর পরের বছর থেকে আপনারা আগে থেকে হল বুক করে রাখবেন। বসার জায়গা না পাওয়া সত্ত্বেও যে টুকরো টাকরা ক্ষোভ জমা হয়েছিল কর্মীদের ভিতর, মহার্ঘভাতা পেয়ে প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় তাঁদের মুখে দেখা যায় চওড়া হাসি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*