সন্দেশখালির স্টিং ভিডিও নিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়

রোজদিন ডেস্ক :- সন্দেশখালির স্টিং অপারেশন ভিডিও নিয়ে বিজেপির তুলোধনা করতে ছাড়লেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সকালে সন্দেশখালির একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে চারিদিকে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছে নিজো মূখে, “মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা পুরোটাই সাজানো। সেজন্য তাঁদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী”…গঙ্গাধরের সেই ভিডিও নিয়ে এবার তোলপাড় ফেলে দিল রাজনৈতিক মহলে। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভিডিওটা তিন বার দেখেছি। একটা রাজনৈতিক দল এত নিচে নামতে পারে, এত নিকৃষ্ট হতে পারে কোনওদিনও ভাবিনি।
রাজ্য দখল করতে গিয়ে বাংলাকে ছোট করে দিয়েছে বিজেপি। “
অভিষেক আরোও বলেন, “ভিডিও ফুটেজে বিজেপির ওই নেতাই স্বীকার করেছেন, বসিরহাট লোকসভায় তাঁদের প্রার্থী রেখা পাত্রও মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। তার জন্য ২ হাজার টাকা নিয়েছেন রেখা। তারপর আরও অনেকে নিয়েছেন। এরা বাংলার মা বোনেদের ইজ্জত পর্যন্ত বেঁচে দিয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ সব সাজানো।”

চলতি লোকসভা ভোটে সন্দেশখালির ঘটনাকে একটা হাতিয়ার করে নিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত এ নিয়ে লাগাতার প্রচার করে চলেছেন। বাংলায় মহিলারা কতটা অনিরাপদ তা তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী।
অভিষেক এদিন বলেন, “ব্যাপারটা এখন জলের মতই পরিষ্কার। লোকসভা ভোটের আগে একটা ঘটনা সাজানো হল। তার পর পুলিশকে তদন্তের কোনও সুযোগ না দিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিল বিচার ব্যবস্থার একাংশ। তার পর সিবিআই, ইডি নেমে পড়ল। আর বিজেপি লাগাতার প্রচার চালিয়ে গেল। এই রাজনীতি জঘন্য নয়? এভাবে বাংলাকে নিচু দেখিয়ে ওরা বাংলা দখল করবে ভাবছে? কোনওদিনও হবে না।”

অভিষেক এদিন বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করছি গঙ্গাধর কয়ালকে বিজেপি সাসপেন্ড করুক। এ ব্যাপারে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যও মিলছে না। বিজেপির নেতারা আলাদা আলাদা কথা বলছেন। ওদের আসল চেহারা, ওদের নগ্নরূপ বেরিয়ে গেছে।”
অভিষেক এও বলেন, “এই ভিডিও ফুটেজ বিচারব্যবস্থাও দেখবে বলে আশা করছি। এ কথা বলার জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলা হলেও আপত্তি নেই। বিচার ব্যবস্থার একাংশ সন্দেশখালি নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁদেরও এটা দেখা উচিত।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*