টিকাকরণ কি বন্ধ রাখতে হবে শনিবার থেকে? আশঙ্কায় রাজ্যকে চিঠি বেসরকারি হাসপাতালগুলির

রাত পোহালেই দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণ। যদিও পশ্চিমবঙ্গে সেটা আগামিকাল থেকেই শুরু হচ্ছে না। দিনকয়েক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলায় ৫ মে থেকে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। কিন্তু, তার আগে রাজ্যে টিকার আকাল এবং বেসরকারি হাসপাতালে বাড়তে থাকা টিকার চাহিদা নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে এ দিন রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফ থেকে।

আগামিকাল থেকে টিকাকরণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে এ দিন বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। কেননা, দিনকয়েক আগে রাজ্যের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১ মে থেকে বেসরকারি হাসপাতালকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে না রাজ্য। সরাসরি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে থেকেই ভ্যাকসিন কিনতে হবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। কেননা আগামিকাল থেকেই খোলা বাজারে ভ্যাকসিন চলে আসছে।

যদিও একদিনের মধ্যে কোথা থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এই অবস্থায় রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, আগামিকাল থেকে রাজ্যের তরফে আদৌ টিকা দেওয়া হবে কি না কারণ, শনিবার থেকে খোলা বাজার থেকে টিকা কেনা যাবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা বেসরকারি হাসপাতালগুলি পায়নি। কিনতে পাওয়া গেলেও তা কীভাবে কেনা যাবে, কবেই বা এসে পৌঁছবে, এরও কোনও উত্তর নেই। তাহলে বেসরকারি হাসপাতালগুলি কীভাবে টিকা দেবে আগামিকাল থেকে? এই প্রশ্নের জবাব আপাতত অন্ধকারে।

এমনও প্রচুর মানুষ রয়েছেন যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নির্ধারিত সময় রয়েছে আগামী কাল বা পরশু। কিন্তু, খোলা বাজার থেকে টিকা পাওয়ার কোনও পথ খোলেনি। আবার রাজ্য সরকারও জানিয়ে দিয়েছে তারা টিকা দেবে না। এই অবস্থায় টিকাকরণ বন্ধ রাখতে হবে কি না সেটাই বড় প্রশ্ন উঠে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলির সামনে। যাদের টিকা নেওয়ার কথা, তাঁরা হাসপাতালে এসে পৌঁছলে এবং তাঁদের টিকা দিতে না পারা গেলে রাজ্য জুড়ে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*