“অনিন্দ্য দা পাশে থেকো”

পিয়ালি আচার্য,

তুমি নেই অনিন্দ্যদা। এখনও বিশ্বাস হয়না। এই তো সেদিন প্রেস ক্লাবে তুমি সেক্রেটারি, সুদেব দা প্রেসিডেন্ট। আমি ই.সি মেম্বার। না সেদিন নয়, সালটা ২০০৬। তেরো বছর হয়ে গেলো। আজ সুদেব দা তুমি দুজনেই অন্যলোকে। জানতে ইচ্ছে করে সেখানেও তোমরা কোনো কমিটির প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি কিনা। অনিন্দ্যদা আজ তোমার জন্মদিন। জানতে পারলাম প্রেস ক্লাবে গিয়ে। কোথায় নিশ্চয়ই তোমার জানা। তোমার মতো রিপোর্টার এটা জানেনা হতেই পারেনা। হ্যাঁ,প্রেস ক্লাবে তোমার অন্যতম পছন্দের রুমটার নাম হয়েছে অনিন্দ্য সেনগুপ্ত হল। সেখানে আজ তোমার ছবিতে ফুলের মালা। স্নেহাশিস দা, অম্বর দা, কিংশুক দা,তাপস দা,অর্ক অনেকেই তোমার নানা গুনের কথা বলছিলেন। একবার ভাবছিলাম আমিও কিছু বলি। কিন্তু বলার থেকে লেখায় বেশি স্বচ্ছন্দ। তাই লিখছি। তোমার পড়াশুনা, তোমার ইংরেজি-বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষায় দখল, সাংবাদিকতায় ব্যুৎপত্তি সাংবাদিক মাত্রেরই জানা। আর প্রেস ক্লাবে ঢোকামাত্রই তোমার দেখা পেতাম। বেশিরভাগ দিনে অম্বরদার পাশে। কতবার তুমি যে ক্লাবের সেক্রেটারি হয়েছো- মনে হয় ছ’বার তাই না!

আজ তোমার জন্মদিন। পাশাপাশি প্রেস ক্লাবে এখন ভোটের আবহ। অর্থনীতি, রাজনীতি, সর্বোপরি সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে তোমার কলম চলতো নিরলস গতিতে। এছাড়া প্রসাশনের অন্দরমহলে তোমার ছিলো স্বচ্ছন্দ বিচরণ। অদ্ভুত সুন্দর নকল করতে পারতে তুমি। আমি বলতাম সৌগত রায়, শিশির অধিকারী কে একটু দেখাও। বিধানসভার লবিতে তোমার নকলের ভঙ্গিতে আমরা মুগ্ধ হয়ে যেতাম। সহকর্মীদের নিয়ে মজা করতে। বরুণদাকে দেখাতে। কাউকে বিন্দুমাত্র ছোটো না করে নির্ভেজাল আনন্দ। শেষবার তোমাকে প্রেসক্লাবে বলেছিলাম একটু দেখাও না অনিন্দ্যদা শিশির অধিকারী, সৌগত রায়ের কথোপকথন।তুমি বলেছিলে কষ্ট হয় পিয়ালি, তবু করে দেখাচ্ছি। জানতাম না অনিন্দ্য দা এতটা অসুস্থ তুমি।

এক বছরেরও বেশী হলো তুমি নেই। না আজ তোমার জন্মদিন, কোনও দুঃখের কথা বলবো না। একটা কথা তোমাকে বলি তেরো বছর পরে আমি প্রেস ক্লাব ভোটে দাঁড়াচ্ছি।সাহস করে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে। তুমি সবসময় বলতে পিয়ালি খুব ভালো মেয়ে। অনিন্দ্য দা, যেখানেই থাকো আমার পাশে থেকো। দেখা একদিন হবেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*