পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদে জ্বলছে তামিলনাড়ু; মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রাহুল ও মমতার

বিশেষ প্রতিনিধি, 
মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন৷ স্টারলাইট কপারের কারখানার এলাকা বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচী নিয়েছিল আন্দোলনকারীরা ৷
কিন্তু ক্রমশ তা ভয়াবহ আকার নেয়৷ মঙ্গলবার শহরের মধ্যে দিয়ে মিছিল করে এসে কালেক্টরেটের সামনে অবস্থান করার কর্মসূচি নিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। প্রথম থেকেই তাদের কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা মিছিল করে কালেক্টরেটের অফিস ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে তাদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়৷ পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পরে এলোপাথারি গুলি চালানো হয়৷ কালেক্টরেট চত্ত্বরেই একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া অনেকেই গুরুতর জখম হন। এদের মধ্যে ৪ জন পরে হাসপাতালে মারা যান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্ট্রাইকিং ফোর্স পাঠানো হয়েছিল পুলিশের তরফে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষিপ্ত আন্দোলনকারীদের মোকাবিলায় পুলিশও চরম মনোভাব নেয়। এমনকী সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও পুলিশের হাত থেকে ছাড় পাননি। কালেক্টরেট চত্ত্বরের ভেতরেই সংবাদকর্মীদের ওপর লাঠি হাতে চড়াও হতে দেখা যায় পুলিশকে। 
এরপরই অবস্থা হাতের বাইরে চলে যায়। শহর জুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন কালেক্টরেটের সামনে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুন লাগানো হয় কালেক্টরের অফিস ভবনটিতেও। বাদ যায়নি স্টারলাইট কারখানার কর্মীদের আবাসগুলিও। স্টাফ কোয়ার্টার্সের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
এদিকে ঘটনার পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, ৯ জনকে অবিচারের প্রতিবাদ করায় তাদের প্রান দিতে হল। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাহুল বলেন আমি মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। 
পাশাপাশি ঘটনার প্রতিবাদে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমি সবেমাত্র বেঙ্গালুরুতে নামলাম। আর নেমেই তামিলনাড়ুর মর্মান্তিক ঘটনাটি শুনে চমকে গিয়েছিলাম। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এদিন আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*