প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় সিবিআই

গুরুগাঁওয়ের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যাকাণ্ডের রহস্যের উন্মোচন করা হয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই। নিজের বাবা ও নিরপেক্ষ এক সাক্ষীর সামনেই  অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া অপরাধ কবুল করেছে বলে এক জুভেনাইল কোর্টকে জানিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, গুরুগ্রামের আদালত রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পড়ুয়া প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যায় গ্রেফতার ওই স্কুলেরই ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রকে তিনদিন সিবিআইয়ের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল। ইতিমধ্যেই তাকে জেরা শুরু করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার, গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার সন্দীপ খেরওয়াল বলেন আমরা প্রথম পর্যায়ে ঘটনাটির যথাযথ তদন্ত করেছি। কিন্তু বর্তমানে কেসের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দ্রুত মৃত্যুর সঠিক কারন প্রকাশ্যে আনুক সিবিআই। পাশাপাশি মৃতের পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় তার জন্য সিবিআই এর কাছে আবেদনও জানান তিনি।
বুধবার রাতে, সোহনায় বছর ষোলোর ছাত্রের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। সিবিআইয়ের দাবি, ছেলেটি খুবই নিম্ন মানের ছাত্র ছিল। স্কুলের নির্ধারিত পরীক্ষা ও শিক্ষক-অভিভাবক বৈঠক পিছনো এবং কীভাবে স্কুল ছুটি করিয়ে দেওয়া যায়, সেই উদ্দেশ্যেই সে খুন করেছে প্রদ্যুম্মকে। মৃত ছাত্রের পরিবার ঘাতক ওই ছাত্রের কঠোর সাজা দাবি করেছে। তাদের আইনজীবী সুশীল টেকরিওয়াল তাকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে ধরে নিয়ে বিচার করে ফাঁসির সাজা চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ৭ বছরের প্রদ্যুম্নকে গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা নাগাদ স্কুলের ওয়াশরুমের ভিতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গলাকাটা অবস্থায় তাকে দেখতে পায় অন্য পড়ুয়ারা। দেহের কাছে পড়ে ছিল একটি ছোরা। অন্যদিকে, গ্রেফতার ছাত্রের বাবা তাঁর ছেলেকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*