সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় হাইকোর্টকে নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টের

ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত সাংসদ-বিধায়কদের আজীবন নির্বাচনে লড়তে না দেওয়ার আর্জি নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে এ দিন বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা সম্ভব নয়। তবে এই ধরনের মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টগুলিকে একাধিক সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল ফৌজদারি মামলায় দোষী রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে লড়ার অধিকার বাতিল সংক্রান্ত মামলার। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি হয়।

সুপ্রিম কোর্টের তরফে হাইকোর্টের জন্য বেঁধে দেওয়ায় বলা হয়, প্রয়োজনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারেন। স্পেশাল বেঞ্চে এই মামলাগুলির শুনানি হতে পারে। যে মামলাগুলিতে সাংসদ বা বিধায়কদের যাবজ্দীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে এবং যে মামলাগুলিতে দোষী সাব্যস্ত হলে সাজার মেয়াদ পাঁচ বছর বা তার বেশি হবে, সেই সমস্ত মামলাকে অগ্রগণ্যতা দিতে হবে।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্পেশাল বেঞ্চ গঠন করতে পারে হাইকোর্ট। স্পেশাল বেঞ্চ এ ধরনের মামলাকে ‘রেগুলার ম্যাটার’ হিসেবে নথিভুক্ত করে দ্রুত শুনানি করতে পারে। পাশাপাশি যে মামলাগুলিতে স্থগিতাদেশ দেওয় হয়েছে, সেগুলির দ্রুত শুনানির জন্য নথিভুক্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল জেলা জজ এ ধরনের মামলার দ্রুত শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*