রানি রাসমণি রোডে তৃণমূলের সভায় অনেক মানুষের ঢল

মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের পর ১০ই নভেম্বর প্রথম প্রকাশ্য সভার পাল্টা সভা বলে তৃণমূল কংগ্রেসের রানি রাসমণি রোডের সভাকে অনেকে বলছেন। বাস্তবিক তা নয়। এদিনের সভায় তথাকথিত হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের উপেক্ষাই করে গেলেন উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে বিলেত সফরে, সুতরাং তার আসার প্রশ্নই আসে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আসার কথা ছিল না, কিন্তু যে সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন তাদের ধারে, ভারে, বক্তব্যের জোরে ছাপিয়ে গেলেন মুকুল রায়কে। অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্ব এই সভাকে মুকুল রায়ের পাল্টা সভা বলতে নারাজ। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখলেও পুরোপুরি উপেক্ষা করে যান মুকুল রায়কে। অপর এক গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করেননি। শুধু বলেন দিলীপ ঘোষ নতুন কোচ পেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিশিষ্ট নেতা ফিরহাদ হাকিম নাম না করে কটাক্ষ করেন বিজেপি ও আর এস এস কে। ফিরহাদ বলেন মোহন ভাগবতের কাছে ধর্ম শিখব নাকি রামকৃষ্ণের কাছে ধর্ম শিখব। তবে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন সিং সরাসরি চাঁচাছোলা ভাষায় মুকুল রায়কে গর্দার ও কালিদাস বলে উল্লেখ করেন। এদিনের সভায় উপস্থিতির সম্ভাবনা ছিল মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর, কিন্তু তার অনুপস্থিতি এটাই বোঝায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য ক্রমে দিক পরিবর্তন করে বিজেপি নেতা বাবার দিকেই ঘুরছে। রাজনৈতিক মহলের এইরকমই ধারণা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*