এই প্রথম পাঞ্জাবের একটি ব্যাঙ্ক করল দুর্গাপুজো পরিক্রমা

বাংলার দুর্গাপুজো আজ সারা বিশ্বে বন্দিত। ইউনেস্কো এই উৎসবকে দিয়েছে বিশেষ স্বীকৃতি। মহালয়া থেকে দশমী বা তারপরেও গোটা বাংলা মেতে ওঠে এই উৎসবে। রাতভর প্যান্ডেল হপিং, ঠাকুর দেখা দেখা থেকে শুরু করে আলোর বৈচিত্রে মুগ্ধ হন লাখো লাখো মানুষ। এই পুজোর এক অন্যতম অঙ্গ পুজো পরিক্রমা। বিভিন্ন চ্যানেল বা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এই পুজো পরিক্রমা করে। মণ্ডপ, প্রতিমা, পুজোর পদ্ধতি, আলোর রোশনাই এসবের নিরিখে ক্লাবগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়।

আজ আপনাদের এরকম এক পুজো পরিক্রমা নিয়ে বলব। তবে এর বিশেষত্ব হল একটি ব্যাঙ্কের উদ্যোগে এটি করা। উল্লেখযোগ্য হল ব্যাঙ্কটির নাম পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্দ ব্যাঙ্ক। ১১৫ বছরের বেশি পুরনো এই ব্যাঙ্কের পুজো পরিক্রমা হল প্রথম প্রয়াস। গত শনিবার রোটারী সদন প্রেক্ষাগৃহে বিজয়ী পুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করা হয় । উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্কের জোনাল ম্যানেজার প্রেম শঙ্কর সিং, রাজ্যের পরিবহন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মন্ডল, কলকাতা পুরসভার মেয়র ইন কাউন্সিল দেবাশীষ কুমার ও বিশিষ্টরা। তবে পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্দ ব্যাঙ্কের এবারের পুজো পরিক্রমা বাঙালীর মনে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবছর বিচারকদের বিচারে সেরার সেরা পুরস্কার পেয়েছে দমদম পার্ক তরুন সংঘ ও সুরুচি সংঘ। এছাড়া ৫ টি ক্লাব আলিপুর সর্বজনীন, বড়িষা ইউথ ক্লাব, জপুর ব্যায়াম সমিতি-কালিন্দি, সন্তোষপুর লেক পল্লি সার্বজনীন ও হাতিবাগান নবীন পল্লিকে এবারের সেরা পুরষ্কারে নির্বাচিত করা হয়।

অন্যদিকে সমাজের বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্বরা ছিলেন বিচারক মন্ডলীতে। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সরোজ গুপ্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিটিউটের আধিকারিক ডঃ অনব গুপ্ত, ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট দলের প্রশিক্ষক মিনারা বেগম, বিশিষ্ট লেখিকা টুম্পা রায় চৌধুরী, সঙ্গীতশীল্পী সঙ্গীতা পাল ও মমতা দাস এবং মহিলা ফুটবলার কনিনিকা রায় চৌধুরী সহ সহ ব্যাঙ্কের অন্যান্য আধিকারিকরা। সহযোগী গ্রুপের প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন শ্রী অরিন্দ্রজিৎ রায়, শ্রীমতি ইন্দ্রানী রায় ও তপন ঘোষ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*