সিঁথিতে সিঁদুর প্রসঙ্গে নুসরতের পাশেই দাঁড়ালেন বিজেপির কৈলাস, বাবুল ও দেবশ্রীরা

সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে চূড়া ও মেহেন্দি পরে শপথগ্রহণ করেছেন তিনি। এই সাজে তৃণমূল সাংসদ এবং অভিনেত্রী নুসরত সংসদে শপথ নেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন কয়েকজন মুসলিম ধর্মগুরু এবং কট্টরপন্থীরা। অভিযোগ তোলা হয়, শাখা, সিঁদুর পরে ইসলাম ধর্মের রীতি ভেঙেছেন বসিরহাটের সাংসদ। আর এই নিয়ে শনিবার রাতে ট্যুইটারে কড়া ভাষায় জবাবও দিয়েছেন নুসরত ৷ তিনি লিখেছেন, ঐক্যবদ্ধ ভারতের প্রতিনিধি ৷ যা কিনা সমস্তজাতি, ধর্মমত এবং ধর্মের বেড়াজালের ঊর্ধ্বে ৷ আমি সমস্ত ধর্মকেই শ্রদ্ধা করি ৷ আমি নিজেকে এখনও একজন মুসলিম মনে করি ৷ আর আমার পরণের জন্য কী বাছব, তা নিয়ে কারও কোনও বক্তব্য পেশ করার প্রয়োজন নেই ৷

আর এই ইস্যুতেই এবার বিজেপি-র আরও এক সাংসদ এবং মন্ত্রীকে পাশে পেলেন নুসরত জাহান। নুসরতের পাশে দাঁড়ালেন আসানসোলের সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল জানান, যা করেছেন ঠিক করেছেন নুসরত। বিয়ের জন্যও তৃণমূল সাংসদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাবুল। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে আসানসোলের সাংসদ বলেন, স্বাধীন দেশে নিজের মতো করে জীবনযাপন করার অধিকার সবার আছে। সংসদে ওকে হাতে শাখা, মাথায় সিঁদুর পরা অবস্থায় ওকে আমি দেখেছি। এটা একেবারেই ওর নিজের সিদ্ধান্ত, এই সাজে ওকে দারুণ দেখাচ্ছে। ফতোয়ার বিরুদ্ধে ও যে জবাব দিয়েছে, সেটাও আমার খুব সাহসী মনে হয়েছে। সব ফতোয়াকেই যেভাবে ও ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে, সেটাও আমার দারুণ লেগেছে।

উল্লেখ্য, শনিবারই নুসরতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। আর এবার পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমি মনে করি ফতোয়া জারি করা অন্যায়। সবারই নিজের মতো জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। কে কীভাবে জীবনযাপন করবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

বিজেপি সাংসদ তথা নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি বলেন নুসরত কেন সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পরেছিলেন, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এনিয়ে কারও নাক গলানো উচিত নয়। সংবিধানের নাম নিয়ে শপথ নেওয়া কাউকে যদি কোনও ধর্মগুরু ফতোয়া দেন, তা দেখার দায়িত্ব সংবিধানের। এটা পাকিস্তান নয়। আপনারা (মৌলবিরা) কার উপর ফতোয়া চাপাচ্ছেন? যিনি জনতার রায়ে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁর উপর? আগামীদিনে এই মনোভাব বদলানো উচিত।

মিমি বলেন, ও কী পরবে সেটা ওর সিদ্ধান্ত। আমি বন্ধু হিসেবে ওর সব সিদ্ধান্তকে সমর্থন করব।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*