রাজ্যের আরও ৯ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!

একুশের বিধানসভা ভোটের পরই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে ওই বছরই দুর্গা পুজোর ঠিক আগে বাংলার দেড় কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’এর আর্থিক অনুদান পাঠাতে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর মাত্র দু’বছরেই এই প্রকল্পের প্রাপক সংখ্যা ছাড়াচ্ছে ২ কোটির গণ্ডি। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরে যে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হয়েছিল, তার মাধ্যমে এই প্রকল্পে আরও ৯ লক্ষ নতুন আবেদনকারী মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা নতুন এই ৯ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খুব দ্রুত টাকা পাঠানো শুরু হবে। এবার পুজোয় এটাই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে অন্যতম উপহার হতে চলেছে!

বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন সুবিধা পাচ্ছেন। নতুন করে ৯ লক্ষ যুক্ত হলে, তা ২ কোটি ছাড়াবে। একটি প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যার নিরিখে লক্ষ্মীর ভান্ডার রেকর্ড সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে,নতুন নিয়মে আবার এঁদের বয়স ৬০ পেরোলেই একেবারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতা পেতে থাকবেন এই ৯ লক্ষ উপভোক্তা।

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের অধীন তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা পান প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা, আর বাকিরা ৫০০ টাকা করে। এতদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য প্রতি মাসে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হতো প্রায় ১০৯০ কোটি টাকা। নতুন করে ৯ লক্ষ উপভোক্তা যুক্ত হওয়ায় প্রকল্প বাবদ প্রতিমাসে আরও ৪৫ কোটি টাকা খরচ বাড়বে। অর্থাৎ, এক বছরে এই খাতে মোট খরচ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*