স্কিমার লাগিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ, শতাধিক গ্রাহকের টাকা লুঠ

স্কিমার লাগিয়েই হয়েছে জালিয়াতি। কলকাতা পুলিশ ও কানাড়া ব্যাঙ্কের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। তবে শুধু কানাড়া ব্যাঙ্ক নয়, অন্য ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকেও তোলা হয়েছে টাকা। কতজনের সঙ্গে কলকাতায় জালিয়াতি হয়েছে, সেই ছবি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে সংখ্যাটা ১০০ ছাড়াবে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশর।
এখনও পর্যন্ত কলকাতার তিনটি থানায় FIR দায়ের হয়েছে। জেনেরাল ডায়েরি হয়েছে একাধিক। সবকটি ক্ষেত্রে স্কিমারের মাধ্যমেই জালিয়াতি হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু, কানাড়া ব্যাঙ্কের জালিয়াতির ঘটনায় স্কিমারের মাধ্যমেই যে জালিয়াতি হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। 
কানাড়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোলপার্ক শাখায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়েছে। সংখ্যাটা বাড়তে পারে। আরও জানানো হয়েছে, জালিয়াতি হয়েছে স্কিমার লাগিয়ে। ৩২টি ক্ষেত্রে কলকাতাতেই জালিয়াতি হয়েছে। দিল্লি থেকে বাকি তিনটি জালিয়াতি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এতে কোনও একটি চক্র জড়িত রয়েছে। কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড উইং-এর প্রাথমিক তদন্তে স্কিমারের বিষয়টি উঠে এসেছে। 
তবে শুধু কানাড়া ব্যাঙ্ক নয়, ১৮ জুলাই বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেখানকার বাসিন্দা ওয়াসিফ আলি। অভিযোগ, তাঁর UBI ব্যাঙ্কের বেনিয়াপুকুর শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে গেছে। দ্বিতীয় অভিযোগটি দায়ের করেন তিলজলার বাসিন্দা অজয়। তিলজলার PNB শাখা থেকে তাঁর ৪০ হাজার টাকা উধাও হয়ে গেছে। আজ গড়িয়াহাট থানায় FIR করে কানাড়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। 
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির আধুনিক পন্থা বের করে ফেলেছে জালিয়াতরা। ATM-এর সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আধুনিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস। মূলত কার্ড সোয়াইপের জায়গায় ডিভাইসটি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে। সেই সেনসরের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির ATM কার্ডের যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারপর নকল ATM কার্ড তৈরি করে সেই ATM-এর পিন নম্বর ও তথ্য দিয়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। 
কলকাতা পুলিশ মনে করছে, যেহেতু ATM-এ CCTV ক্যামেরা লাগানো থাকে, তাই এই গ্যাংকে চিহ্নিত করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। খুব তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা যাবে জালিয়াতদের। ধরা পড়বে শহরের বড় অংশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*